রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১২

রাম সেতুর অস্তিত্ব প্রমান করল নাসা(NASA)

(ত্রেতা যুগে) রাক্ষসরাজ রাবণ সীতাকে অপহরণ করে নিয়ে যান এবং বন্দী করে রাখেন নিজ রাজ্য লঙ্কায় । অতঃপর সীতাপতি ভগবান শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা আক্রমণের উদ্দেশ্যে ভ্রাতা লক্ষন, ভক্ত হনুমান এবং এক বিশাল বানর বাহিনী নিয়ে সমুদ্রতীরে এসে উপস্থিত হন । কিভাবে তিনি সাগর পাড়ি দিয়ে লঙ্কায় যাবেন? তখন বানরসেনারা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীরামের পবিত্র নাম পাথরে লিখে সমুদ্রে পথে
একটি পাথরের সেতু তৈরি করেছিলেন । শ্রীরামনাম খচিত সেই পাথরগুলো অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে জলে নিক্ষেপের পর নিমজ্জিত না হয়ে ভেসে উঠেছিল । ভগবানের দিব্যনাম যে কত মহিমাপূর্ণ তারই দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এ লীলার অবতারনা করেছিলেন । সেতুটি ভারতের দক্ষিন উপকূলকে লঙ্কার সাথে যুক্ত করল । এই সেতু দিয়ে রাম তার হনুমান বাহিনী নিয়ে লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করলেন । সেই থেকে এই সেতুর নাম রাম সেতু । এই ঘটনাটির উল্লেখ রয়েছে সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র ‘রামায়ণে’ । সারাবিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, বাস্তবে এই সেতু ছিল এবং এখনো আছে । কিন্তু এটি কি নিছক ধর্মবিশ্বাস নাকি এর কনো বাস্তবিক ভিত্তি রয়েছে ।

সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা(NASA) তাদের নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) সাহায্যে রামায়ণে উল্লেখিত সুনির্দিষ্ট সেই স্থানেই রাম সেতু চিন্হিত করেছে, নাসা আরও জানিয়েছে, সেতুটি ৩০ কি.মি. দীর্ঘ যা বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের রামেশ্বরম দ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কার তালাই মানার পর্যন্ত বিস্তৃত । এছাড়া ‘Google earth’ এর সাহয্যেও ইন্টারনেটে রাম সেতুর পাথরগুলোর সুস্পষ্ট ছবি, ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে শ্রীরামচন্দ্র ও রামসেতুর অস্তিত্বকে স্বীকার করে । শ্রীলঙ্কার ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থানে গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, বাস্তবেই রাম শ্রীলঙ্কায় এসেছিলেন এবং শ্রীলঙ্কাই রাময়নের লঙ্কা । এই বিশাল সেতুটি রামভক্ত নলের সুতত্ত্বাবধানে মাত্র ৫ দিনেই নির্মিত হয়েছিল ! — re posted

লিখেছে সুশান্ত বন্দ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন