রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১২

The Ramayana is a good lesson for good governance

LONDON: The Ramayana is a good lesson for good governance, British Prime Minister David Cameron has said.

Speaking at a Diwali party hosted by him at his official residence, 10 Downing Street, last night, Cameron said: "In the epic Ramayan

a, we are looking at how we give people protection, affection and correction."

"And I think that is a good lesson, because that is what good government should try to do and that is what we should try to do in this country (Britain)."

Referring to Diwali, Cameron said: "The story of how we are lighting the way home for Lord Ram is rather more spiritual than our bonfire night (Guy Fawkes Day)."

Fawkes was the man who plotted to blow up the Palace of Westminster - the British parliament.

But he added: "There is perhaps a little similarity as we are celebrating the triumph of good over evil."

Cameron began his speech by congratulating the Indian High Commissioner to Britain, Jaimini Bhagwati, who was present at the function, on the Indian cricket team's victory over England in the 1st test at Ahmedabad the same day.

হিন্দু দের কিসের এত হীনমন্যতা???

হিন্দু দের কিসের এত হীনমন্যতা??? কিসের-ই বা এত আত্ম-সমালোচনা????? আমাদের 'শিক্ষা' আছে 'সংস্কৃতি' আছে, সমৃদ্ধ 'ইতিহাস' আছে উন্নত 'দৃষ্টিভঙ্গি' আছে, 'সবাই কে নিজের করে নেওয়া' বা 'সব মানুষের কথা ভাবা' বা 'সমগ্র মানবজাতির মঙ্গল কামনা করা' কি আজ হিন্দু দের 'দুর্বলতা'???????????

আমাদের 'বেদিক সনাতন' ধর্মে যুক্তিতর্কের যথাযথ সুযোগ দেওয়া আছে যাতে সময়ের সাথে সাথে আমরা আমাদের ধর্ম কে যেমন সবার মাঝে 'গ্রহণযোগ্য' করে তুলতে পারি ঠিক তেমনি 'যুক্তিতর্ক / বিজ্ঞান' এর সঠিক প্রয়োগ এর মাধ্যমে 'সনাতন' কে সর্বদা সমুন্নত রাখতে পারি...... তবে একটা অনুরধ 'যুক্তিতর্ক / বিজ্ঞান' এর 'অপপ্রয়োগ' করে কেউ যাতে তার 'নাস্তিকতা' কে প্রতিষ্ঠিত করতে না চায় !!!!!!!!

'মানবতা' 'মানবতা' করে করে যেসব হিন্দু আওয়াজ ভারী করে তাদেরকে বলতে চাই যে একমাত্র 'হিন্দু' ধর্ম 'সকল মানুষের' কথা বলে সমগ্র 'মানব জগত এর কল্যাণ' এর জন্য ঈশ্বর
এর কাছে প্রার্থনা করে কোন বিশেষ ধর্ম / গোষ্ঠী / সম্প্রদায় / 'UMMAH' এর কথা বলে না...... 'হিন্দু ধর্ম' আর 'মানবতা / মানব ধর্ম' আলাদা নয়। ভালভাবে নিজের ধর্ম পালন করলে ভাল 'মানুষ' এমনিতেই হওয়া যায় এর জন্য নিজের ধর্ম থেকে দূরে চলে যাবার কোন কারন নেই.......

নিজের 'হিন্দুত্ব' কে গর্বের সাথে প্রকাশ করুন 'সময় / সুযোগ / পারিপার্শ্বিকতা' বিবেচনায়। 'হিন্দু' হওয়া আমাদের জন্য 'লজ্জা' এর নয় 'পরম সৌভাগ্য' এর, হিন্দু হতে পারার জন্য 'ভগবান' এর কাছে 'কৃতজ্ঞ' থাকুন, 'সনাতন' কে নিজের ধর্ম হিসেবে পাওয়া আমাদের 'চরম গৌরব' এর ......

আমরা নিজেদের কে 'বাঙালী' ভাবী, 'ভারতীয়' ভাবী গর্বের সাথে তাহলে আমরা নিজেদের 'হিন্দু' ভাবতে কেন এত 'অপমানিত' বোধ করব?????? 'হিন্দুত্ব' কি আমাদের 'পরিচয়' এর কোনরকম 'সংজ্ঞা - বাহী' নয়???????????

'বেদ' পড়ুন 'গীতা' পড়ুন, নিজে পরুন আর আশেপাশের হিন্দু ভাই - বোন - বন্ধু দের পড়তে উৎসাহী করে তুলুন, জানবেন পাসের হিন্দু কে 'ধর্ম - মুখী' করাও আপনার 'ধর্মীয় দায়িত্ব' এর মধ্যে পড়ে। শুদু নিজে ধর্মের পথ অনুসরন যথেষ্ট নয়, নিজের সাথে সাথে সবাই কেও ধর্মের পথে আনা আমাদরে।সব হিন্দু দের আবশ্যিক 'নৈতিক কর্তব্য'।

আবারও, হিন্দু দের 'শিক্ষা' আছে 'সংস্কৃতি' আছে, সমৃদ্ধ 'ইতিহাস' আছে উন্নত 'দৃষ্টিভঙ্গি' আছে যা নেই তা হল 'ধর্ম - মনস্কতা', আসুন আমরা ধর্মের পথে আমাদের জয়যাত্রা কে ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনায় সুনিশ্চিত করি এবং পরবর্তী হিন্দু প্রজন্মের কাছে 'বিজ্ঞান - সম্মত' 'বাস্তবভিত্তিক' 'সময় - উপজুগি' ধর্ম উপহার দেই যেখানে থাকবে না কোন 'কাল্পনিক উপমা' থাকবে না কোন 'রম্য-রস-কাহিনি' থাকবে না কোন 'অবাস্তবিক চরিত্র' থাকবে না কোন 'অস্থিতিশীল কল্পকথা' এর অবতারনা...থাকবে শুদুই 'ধর্ম', 'ঈশ্বর' আর 'ধর্মীয় অনুশাসন'......

গর্বের সাথে বল 'আমি হিন্দু'......ভগবান সব হিন্দু দের 'ধর্ম - অভিমুখী' করো............(পুরোটা পড়বার অনুরধ রইল সব হিন্দু ভাইবন দের প্রতি...)...

শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

ভাই ফোঁটা

যমের দুয়ারে পড়লো কাঁটা
ভাইকে দিলাম বোনের ফোঁটা

এভাবেই নানা ছড়ার মাঝে বড় বোন যখন ছোট ভাইয়ের কিংবা ছোট বোন যখন বড় ভাইয়ের কপালে একটি সুন্দর ফোঁটা দেয়, বড় বোন হলে ছোট ভাই তাকে প্রণাম করে তার আর্শীবাদ নিয়ে থাকে। ছোট বোন হলে বড় ভাইও ত

াকে আর্শীবাদ করে থাকেন। এছাড়া ভাইদের জন্য বোনদের নানা পুরস্কারতো রয়েছেই। ভাই ফোঁটা সব ঘরে পালিত হয় না। কালী পূজার পরে প্রতিপদ ও দ্বিতীয়ায় ভাই ফোঁটা শুরু হয়।

পারিবারিক এ অনুষ্ঠানটিতে কোন ধর্মীয় শ্লোক বা ধর্মীয় আভারন নেই। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি ভাইদের প্রতি বোনদের ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভাই ফোঁটার আবেদনে ভাইয়ের প্রতি বোনদের আন্তরিত ভালবাসার পূর্ণতা লাভ করে ।

ভাই ফোঁটার অনুষ্ঠানটি সম্পূর্ণ পারিবারিক সৌহাদ্য ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ভাইয়ের সকল বাঁধা বিঘ্ন কেটে যাক, ভাইয়ের জন্য বোনেরা যতদূত (মৃত্যু)’র দুয়ারে কাঁটা বিছিয়ে ভাইদের জন্য সাফল্য কামনা করেন। ঘরে ঘরে ভাইদের রক্ষায় বোনদের এই আকুল কামনা, এই সুন্দর পারিবারিক প্রথার মধ্যে এমন ভাবে গেঁথে আছে যা ভাই ফোঁটা প্রথাটিকে যুগ যুগ ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে

কক্সেস বাজারে আদিনাথ কে দর্শন

কক্সেস বাজারে আদিনাথ কে দর্শন করতে গিয়ে সনাতন এর জন্যে আমি অনেক কিছুই নিয়ে এসেছি এবং পোষ্ট এর মাধ্যমে তা জানিয়েছি ও সবাই কে। কিন্তু আদিনাথ মন্দিরের কিছু বিষয় যা আমাকে যথেষ্ট হতাশ করেছে।

যে বিষয়ে আমি হতাশ হলাম সেটি হলো, আদিনাথ মন্দিরে

একটি পারিজাত বৃক্ষ রয়েছে। যা মাথা উচু করে দারিয়ে নিজের অস্তিত্ত প্রমান দিচ্ছে। স্বর্গের ফুল পারিজাত স্বর্গের বৃক্ষ পারিজাত। কিন্তু ছেলে মেয়েরা ঐ গাছের ডালে ডালে পলিথিন দিয়ে গিঁট মেরে যাচ্ছে। গাছের নিচের দিকের যে অংশটুকু হাত দিয়ে ধরা যায় সেই অংশ টুকুতে ডালের বা পাতার কোন অস্তিত্ত নেয় শুধু পলিথিন এর গিঁট আর গিঁট।

গাছ টি মরে যাবে এই অবস্থা চলতে থাকলে। এক জন গিঁট মারছে আমি তাঁকে ডেকে জিগ্যেস করলাম কেন গিঁট মারছেন এই ভাবে? তিনি উত্তর দিলেন আমার ছেলে হচ্ছে না তায় আমি আদিনাথের কাছে মানস করেছি যে আমার ছেলে হলে আমি এই গিঁট খুলে দিব!!! আমি তাঁকে আবার জিগ্যেস করলাম আপনি অন্য মন্দিরে ও কি গিঁট মেরেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ যে মন্দিরে যায় সেখানেই আমি গিঁট দি (তাঁর মানে উনার হাত থেকে কোন মন্দিরের গাছের মুক্তি নেয়্)

আমি গিঁট যিনি মারছেন তাঁকে জিগ্যেস করলাম আপনি কি জেনে গিঁট মারছেন এখানে? এখানে গিঁট মারলে কি আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে? তিনি বললেন কাকে জিগ্যেস করব আমি? উত্তরে আমি বললাম মন্দিরের পূরিত কে জিগ্যেস করুন না কেন?

নিজে উদ্যোগী হয়ে আমি পূরিত কে ডেকে আনলাম। তাঁকে জিগ্যেস করলাম এতে কি উপকার হয় (পূরিত আমাদের সনাতন সংগঠনের এক জন সন্মানিত সদস্য) ? তিনি বললেন দাদা আমরা অনেক নিষেধ করি কিন্তু শুনে না কেও। প্রতি ৩ মাস অন্তর আমরা গাছের নিচের ডাল গুলি কে কেটে ফেলি কিন্তু ময় নিয়ে এসে বাঁধে ওরা গিঁট। এমন ও নাকি আছে প্রেমিক প্রেমে সফলতা পেতে প্রমিকার ছবি ও ১০০ টাকা সহ গাছের ডালে গিঁট মেরে যায় !!!!!!!

পুরহিতএর এই কথা শুনে না হেঁসে পারলাম না। আমি পূরিত ও এডভোকেট মৃণাল চক্রবত্তি এক সাতে হাসলাম এবং বুঝিয়ে বললাম এভাবে ঈশ্বরের কৃপা পাওয়া যায় না। ঈশ্বরের কৃপা পেতে হলে ভক্তি ভরে নিজের কাজ টা ঠিক ভাবে করতে হয়।

প্রকৃতিই ঈশ্বর তায় প্রকৃতির সৃষ্টি কে এই ভাবে গিঁট দিয়ে মেরে ফেলা উচিৎ নয়। আপনার যেখানেই দেখবেন সেখানেই এই কু-সংস্কার এর প্রতিবাদ করবেন। একটা অমূল্য গাছ ও যেন নষ্ট না হয় এই গিঁট শিল্পী দের হাত থেকে।

ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।

লিঙ্কন চক্রবরর্ত্তী

হিন্দু মেয়েরা সাবধান


চলে গেলেন বাল ঠাকরে

চলে গেলেন বাল ঠাকরে৷ রেখে গেলেন এক বর্ণময় অধ্যায়। শনিবার বিকেল সাড়ে তিনটের সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে শিবসেনা প্রধানের। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর৷আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিত্সক
জলিল পার্কার৷ ঠাকরের মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শোকের ছায়া নেমে এসেছে মুম্বইজুড়ে৷ মাতুশ্রীর সামনে মানুষের ঢল দেখা গিয়েছে৷ ঠাকরেকে শেষ দেখা দেখতে আসছেন অসংখ্য মানুষ৷ আসছেন দলীয় নেতা-কর্মীরাও৷ কড়া নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে মাতুশ্রীকে৷ মুম্বইয়ের থানা গুলিতেও হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷



সাধারণ মানুষের মতোই জীবন শুরু হয়েছিল বাল ঠাকরের৷ প্রথমে কার্টুনিস্ট৷ তারপর সেই কার্টুনিস্ট বালাসাহেব ঠাকরেই ধীরে ধীরে হয়ে উঠলেন তামাম বাণিজ্যনগরীর সম্রাট বাল ঠাকরে৷
মুম্বইয়ের একটি ইংরেজি দৈনিকের কার্টুনিস্ট হিসেবে জীবনটা শুরু করেছিলেন বালাসাহেব৷ ১৯৬০-এ নিজেই একটি রাজনৈতিক মুখপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলেন৷ আগের চাকরি ছেড়ে প্রকাশ করলেন ‘মার্মিক’ নামে সাপ্তাহিক রাজনৈতিক পত্রিকা৷ লক্ষ্য তাঁর একটাই, মারাঠি ভাষাভাষীদের জন্য নিজস্ব প্রদেশ৷ সংযুক্ত মহারাষ্ট্র৷ প্রথম থেকেই মুম্বইয়ে ভিনরাজ্যের অধিবাসীদের অস্তিত্বের প্রতিবাদ করে ক্রমশ ভিত বাড়াচ্ছিলেন বালাসাহেব ঠাকরে নামে এক অচেনা ব্যক্তি, তখনও পর্যন্ত৷ বাড়ছিল পরিচিতি৷
১৯৬৬-তে ঠিক করেন নিজেই একটা রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন৷ যেমন ভাবা, তেমন কাজ৷ তৈরি হল শিবসেনা৷ মহারাষ্ট্রে মারাঠিদের চাকরি নিশ্চিত করতে হবে, এটাই ছিল শিবসেনার স্লোগান৷ আর তাতেই বাজিমাত৷ হু-হু করে বাড়তে থাকে বালাসাহেব ঠাকরের জনপ্রিয়তা৷ পাশাপাশি উঠতে থাকে অভিযোগ৷ মুম্বইয়ে বসবাস শান্তিপূর্ণ রাখতে বালাসাহেবের দলবল নাকি তোলা তুলছেন ভিনরাজ্যের অধিবাসীদের কাছ থেকে৷ শিবসেনার পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হলেও, শিবসৈনিকদের বিরুদ্ধে গা-জোয়ারির একটা নালিশ ততদিনে পায়ের তলায় মাটি পেয়ে গেছে৷ সমঝে চলাতে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন সাধারণ মানুষ৷ তাতে প্রকারান্তরে সুবিধাই হয়েছে শিবসেনার৷
ইস্পাতকঠিন বর্মের আড়ালে থাকা বাল কেশব ঠাকরেকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছিল ৯৬-তে ঘটা জোড়া দুর্ঘটনা৷ প্রথমটিতে মারা যান তাঁর পত্নী মিনা৷ দ্বিতীয়টিতে বড় ছেলে বিন্দুমাধব৷ তিন বছর পর পাঁচ বছরের জন্য বালাসাহেবের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন৷ তাতে অবশ্য বিন্দুমাত্র দমানো যায়নি ঠাকরেকে৷
আজীবন ছিলেন বর্ণময়৷ প্রশ্নহীন আনুগত্য পেয়েছেন লাখো অনুগামীদের কাছ থেকে৷

শেষের দিনেও সেই আনুগত্যই তাঁর বাসভবন মাতুশ্রীর সামনে টেনে আনলো হাজারো শিবসৈনিককে৷ আগাগোড়া বিতর্কিত হয়েও, প্রবল জনপ্রিয় এক ব্যক্তিত্বকে হারাল ১৭ নভেম্বর, দু’হাজার বারোর মুম্বই৷
 
 

পড়ে দেখুন

মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক বাঙালী নিধনে গণহত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণের অংশবিশেষ, "কুমিল্লার অফিসার্স মেসে ৯ম ডিভিশনের সদর দপ্তরের কর্নেল নাইম আমাকে বলে, 'হিন্দুরা তাদের টাকা দিয়ে মুসলমান জনসাধারণকে পুরোপুরি কুরে কুরে খেয়ে ফেলেছে। তারা প্রদেশটির রক্ত শুষে নিয়ে সেটিকে সাদা করে ফেলেছে। এখানকার টাকা, খাদ্যশস্য এবং অন্যান্য উৎপন্ন ভারতীয় সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয়েছ
ে। অনেক ক্ষেত্রে স্কুল কলেজগুলোর শিক্ষক কর্মচারীদের অর্ধেকেরও বেশি হিন্দু এবং তারা তাদের ছেলেমেয়েকে শিক্ষাদীক্ষা গ্রহণের জন্য কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছে। ব্যাপারটা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেখানে বাঙ্গালী সংস্কৃতি কার্যত হিন্দু সংস্কৃতির নামান্তর মাত্র। আর পূর্ব পাকিস্তান দৃশ্যত কলকাতার মাড়োয়ারি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে। এখানকার জনসাধারণের সম্পদ ও তাদের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করতে আমাদেরকে ঐ সব হিন্দুদের খুঁজে বের করে নির্মূল করতে হচ্ছে'।"

সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছি আমরা

নগ্নতার সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছি আমরা দিনে দিনে, বলিউড ধাঁচের সস্তা আধুনিকতা আমাদের হিন্দু সমাজ কে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে, মানছি 'মা কালি' ছিলেন 'উড়নচণ্ডী' রুপের কিন্তু মা কে আরও ভদ্র রুচিশীল গ্রহণযোগ্য ভাবে উপস্থাপিত করতে পারতাম, এমনিতেই আমাদের ধর্ম কে নিয়ে বিদ্রুপ এর শেষ নাই তার উপর এরকম 'অর্ধ - নগ্ন' প্রতিমা না তৈরি করলেই কি হত না ?????? ART/CREATIVITY কি আমাদের 'নগ্নতা' তেই তৃপ্তি এর ঢেকুর তুলছে ????????? এটাই কি আমাদের সনাতন হিন্দু ধর্মের সর্বশেষ উপহার নতুন প্রজন্মের কাছে ?????????

সবচাইতে উদ্বেগ এর কথা হল এরকম 'অর্ধ নগ্ন' প্রতিমা 'ধর্ম না জানা' 'উদ্দাম নৃত্য - অশ্লীল গান এ মদ - মেয়ে' তে আচ্ছন্ন হিন্দু (নামধারী যদিও!!!!!) তরুণ-তরুণী দের রঙিন দুনিয়ায় এক অদ্ভুত 'ধর্ম - আবেগ' এর 'ঝড়' তুললেও তাদের হৃদয় - চৈতন্যে 'স্বস্তি' এর শিস দিলেও কিছু - কিছু হিন্দু ভাইবোন দের কে ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। ১০০ জন এর মধ্যে ৩-৪ জন এরকম পাবেন যারা এইসব দেখে ধর্ম থেকে দূরে চলে যায় (হয়ত তারা প্রকৃত সত্য জানে না তার পরেও তারা ধর্ম থেকে দূরে সরে যায় এসব দেখে), এরকম ভাই
দের ইমাম-মুমিন গন আচ্ছামত BRAINWASH করতে পারে (LOVE JIHADI
দের কথা না হয় নাই বা বললাম!!!) এবং এদের-ই একাংশ আমাদের ধর্ম থেকে অনেক দূরে চলে যায় যেখান থেকে এদের ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব!! আমার ইঙ্গিত হয়ত আপনারা স্বকীয় প্রাজ্ঞ - বোধ দিয়ে অনুধাবন করতে পেরেছেন ......

তাই আবারও অনুরধ 'নগ্নতা' কোনভাবেই ART/CREATIVITY নয় বা কারো কাছে 'গ্রহণযোগ্য' করতেও প্রতিমা নগ্ন উপস্থাপন কাম্য নয়, মা কে নিজের মা ভাববেন ও মা এর সরূপ কে প্রতিমায় রুপ দিন এমনভাবে যাতে তা 'ধর্মীয় মাহাত্ম্য' বজায় রেখেই 'বাস্তবিক গ্রহণযোগ্যতা' পায়............ মা কালি আমাদের সুস্থ- স্থিতিশীল-বিচক্ষণ-দূরদর্শী করে তোল যাতে আমরা হিন্দুরা আমাদের 'সনাতন' ধর্ম কে সবার কাছেই 'অনুমত' ও 'গৃহীত' হয়ে ওঠে.........
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=298165703622119&set=a.265330863572270.49102.261146480657375&type=1&theater
 
 

এক ধর্ম, এক পরিবার, সনাতন পরিবার

ঋগবেদ ৫.৬০.৫
অজ্যেষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাস
এতে সং ভ্রাতারো তাবৃধুঃ
সৌভগায়
যুবা পিতা স্বপা রুদ্র
এযাং সুদুঘা পুশ্নিঃ সুদিনা মরুদ্ভঃ ॥

বঙ্গানুবাদ :কর্ম ও গুনভেদেকেউ ব্রাহ্মন,কেউ ক্ষত্রিয়,কেউ বৈশ্য,কেউ শুদ্র।তাদের মধ্যে কেহ বড় নয় কেহ ছোট নয় ।ইহারা ভাই ভাই ।সৌভাগ্য লাভের জন্য ইহারা প্রযত্ন করে ।ইহাদের পিতা তরুন শুভকর্ম ঈশ্বর এবং জননীরুপ প্রকৃতি ।পুরুষার্থী সন্তানকেই সুদিন প্রদান করে ।
.......................................................................
ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শুদ্র -- এই চারটি বর্ণ গুণ ত্ত কর্মানুসারে আমি সৃষ্টি করেছি ( অর্থা্ত প্রত্যেকটি মানুষের বর্ণ নির্ধারিত হবে তার গুণ ত্ত কর্ম অনুসারে, তার জন্মানুসারে নয়)। ( গীতা 4/13 )
.......................................................................

কাজেই উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি সনাতন ধর্মে বর্ণপ্রথার কোন স্থান নেই্। ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়,বৈশ্য, শুদ্র --- এরা সবাই সমান, এরা সবাই ভাই ভাই। এরা সবাই ভগবানের সৃষ্টি। আর জন্ম থেকেই কারো পরিচয় নির্দিষ্ট হয় না ... পরিচয় নির্দিষ্ট হবে তার অর্জিত গুণ এবং তার কর্ম অনুসারে। আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হল, আমরা জন্মানুসারে অন্যদের পরিচয় ঠিক করে দেই / নেই। ধরুন, 'X' এর দু'টি ছেলে হল; একজন y এবং আরেকজন z । y লেখাপড়া করে একজন ব্যরিষ্টার হয়েছে আর z লেখাপড়া করতে পারেনি। তাই z সে জুতা সেলাই-এর কাজ করছে। তো আপনার কাকে কি বলবেন .... ? যে জুতা সেলাই করছে ... তাকে কি আপনারা .....'চেৌধুরী সাহেব' বলবেন ? অবশ্যই 'মুচি' বলবেন। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, মানুষের পরিচয় নির্দিষ্ট হয় তার অর্জিত গুণাবলী এবং কর্ম দ্বারা।

কাজেই (সনাতন ধর্মাবলম্বী) যে কোন ছেলে / মেয়ে নিজ যোগ্যতা অনুসারে অপর যে কোন মেয়ে / ছেলে (সনাতন ধর্মাবলম্বী) কে বিয়ে করতে পারে। অপর ধর্মের ছেলে / মেয়েকেত্ত বিয়ে করতে পারে। তার ধর্ম ত্যাগ করতে হবে না। কারণ ভগবান বলেছেন ... " হে মানব, ঈশ্বরের মহিমাকে বৃদ্ধি কর। ভ্রান্ত আচরণশীল অনার্য্যকে (বৈদিক) জ্ঞান দাত্ত। বিশ্বের সকলকে আর্য্য (সভ্য/সনাতন ধর্মের অন্তর্ভুক্ত) কর। (ঋকবেদ 9/63/5)।

আর একটি কথা, আমাদের হিন্দুদের প্রায় সবাই ভয়ংকরভাবে আত্মকেন্দ্রীক। প্লিজ এই আত্মকেন্দ্রীকতা বাদ দিন। আপনি যদি কোন ভাল অবস্থানে থাকেন অবশ্যই আপনার ভাইদের (গরিব হিন্দুদের) সাহয্য করবেন। সাহায্য শুধু নগদ টাকা দিয়ে করলেই হয় না, ইচ্ছে থাকলে বিভিন্নভাবে সাহায্য করা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইচ্ছে করলেই 4/5 টি হিন্দু ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারেন। যদি কারো এরকম সাধ্য থাকে তবে আপনি আপনার পাশের বাড়ির গরিব হিন্দু ভাই/বোনটিকে প্লিজ দয়া করে সাহায্য করবেন।

বেদে বলা আছে:

আয় করতে হাতকে শতটিতে বৃদ্ধি কর,আর দান করতে সেই শত হাতকে হাজারে রুপান্তরিত কর।

Multiply your hands to hundred and multiply the hundred hands to thousands to distribute.
(Atharvaveda 3.24.5)
[অথর্ববেদ ৩.২৪.৫]

শিশু পরাগ মন্ডলের অপহরন, উদ্ধার ও বিছিন্ন কিছু ভাবনা

কেরানীগঞ্জের স্কুলছাত্র পরাগ মণ্ডলকে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে র‌্যাবের হাতে আটকদের মধ্যে তিন জন এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন, জাহিদুল হাসান (১৮), কালা চান (৩৫) ও মো. আলী ওরফে রিফাত (১৯)। শুক্রবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী শহীদুল ইসলাম নিজের খাসকামরায় এই তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন ব
লে জানান ওই আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
এ ঘটনায় র‌্যাবের হাতে আটক বাকি তিনজন মো. আলফাজ (১৮), রিজভী আহমেদ অনিক (১৮) ও আবুল কাশেমকে (৩৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
পরাগকে অপহরণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয় জনকেই ১০ দিনের হেফাজতে নেয়ার আবেদন করলে ওই তিনজনের ১০ দিন হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক কাজী শহীদুল ইসলাম।
তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার পর জাহিদুল, কালা চান ও রিফাতকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় আগে থেকেই পুলিশ হেফাজতে থাকা মামুনও অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানান। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার মামুনকে সাত দিনের হেফাজতে নেয়ার আদেশ দেন ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. তাজুল ইসলাম।
কেরানীগঞ্জের শুভাঢ্যা এলাকা থাকে অপহরণের তিনদিন পর মঙ্গলবার রাতে প্রথম শ্রেণীর ছাত্র পরাগ মণ্ডলকে (৬) উদ্ধার করা হয়। পরদিন বুধবার রাতে এই অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে মামুনকে (৪০) গ্রেপ্তার করা হয়। সে রাতেই এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জুরাইনের একটি বাড়ি থেকে ওই ছয় জনকে আটক করে র‌্যাব। ********

@@@@@@@@ @@@@ উপরের এ অংশটি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম- এর সৌজন্যে পাওয়া। পরাগ মন্ডল নামে এ শিশুটি কেরানীগঞ্জের সংখ্যা লগু হিন্দু পরিবারের বাবা মায়ের একমাত্র পুত্র সন্তান। প্রকাশ্য দিবালোকে মা, বোন ও গাড়ীর ড্রাইভারকে গুলি করে মায়ের বুক হতে শিশুপুত্র ছিনতাই পত্র পত্রিকা ও টিভি সংবাদে কভার পাওয়া সম্ভবতঃ এটি দেশের প্রথম ঘটনা। এ ঘটনায় দেশের সুস্থ চিন্তার ধারক আপামর সকল মানুষ ব্যথিত হয়েছে, উৎকন্ঠিত হয়েছেন শিশুটির ভাগ্য নিয়ে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। পরিশেষে তিন দিন পর শিশুটি উদ্ধার পাওয়ায় স্বস্ত্বির নিশ্বাস নিয়েছেন উৎকন্ঠিত মানুষজন।

এ শিশুটি অপহরন ও উদ্ধার পর্যন্ত ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রায় সকল পত্র পত্রিকায় নানান ধরনের খবর ছাড়াও ঢাকা শহরে সুস্থ ও বিবেকবান মানুষের মনে নানান প্রশ্নে জন্ম দিয়েছে। কেহ কেহ মন্তব্য করেছেন এটির পেছনে সরকার দলীয় স্থানীয় কোন কোন পাতি নেতা জড়িত, আবার কেহ কেহ মন্তব্য করেছেন সংখ্যালগু এ পরিবারটিকে উচ্ছেদ করার প্রয়াসে এটি ঘটানো হয়েছে। বিরোধীদল বলেছেন, এঘটনা প্রমান করে সরকার সংখ্যালগুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিগত বিএনপি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ন্যায় আল্লার মাল আল্লায় নিয়েছেন বলবেন না, বরং তিনি বলবেন এটি একটি বিছিন্ন ঘটনা ইত্যাদি ইত্যাদি। বিরোধী দলের কে কি বলেছেন সেটি সাধারণ্যের মধ্যে তেমন ধার না ধারলেও ক্ষমতাসীন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কখন কি বলেছেন, এটি জনসাধারন্যের মধ্যে একটু না একটু আলোচনায় আসবে এটাই স্বাভাবিক। আমার মনে হয় ক্ষমতাসীন সরকারের বিজ্ঞ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এহেন কথা না বলে বরং এটি দুঃস্কৃতিকারীদের ঘটনা এবং দুঃস্কৃতিকারী যেই হোক এদের শাস্তির বিধান সরকার করবেই এধরনে প্রত্যয় দেখিয়ে বলে ক্ষান্ত হতে পারতেন।

শিশু পরাগ মন্ডল কি কারণে অপহরণ হলো এবং কিভাবে উদ্ধার হলো এ বিষয়ে চুলচেরা তদারকি করার জন্য সরবারের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। কিন্তু ঘটনাটি যে, শিশু পরাগ মন্ডলের বাবা তথা একটি সংখ্যালগু পরিবারকে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যে ঘটনানো হয়েছে এ বিষয়ে সাধারণ মানুষ একমত হবেন বলে আশা করা যায়। আমরা যদি সেই ১৯৪৭ সাল হতে অদ্যাবধি বাংলাদেশের গ্রামগঞ্জের হিন্দু পরিবারগুলির জায়গা জমি, বসত ভিটে উচ্ছেদের ধরন গুলি একটু খেয়াল করি, তাহলে দেখব ঐ ধরনের ঘটনা গুলির সাথে শিশু পরাগের অপহরনের ঘটনার একটা সামঞ্জস্য/ মিল আছে। গ্রামগঞ্জের হিন্দু পরিবার গুলিকে স্থাবর সম্পত্তি হতে উচ্ছেদের পূর্বে উচ্ছেদকারীরা প্রথমে পরিবারের দুর্বল জায়গাটা খোঁজে এবং ঐ দূবল জায়গায় আঘাত করে পরিবারের প্রধানকর্তা সহ সবার মনে ভয় ধরিয়ে দেয়, যেন তারা সবাই তাদের জন্মভূমিতে অনিরাপদ মনে করেন। এক্ষেত্রে গ্রামে গঞ্জে সংখ্যালগু পরিবারের উঠতি/যুবতী মেয়েদেরকে বেচে নেয়। গ্রামের নিরীহ মানুষ সাধারণতঃ নিজের জীবনের চাইতে সম্ভ্রমকে বেশী গুরুত্ব দেয়। সুতরাং পরিবারের মান মর্যাদা রক্ষার তাগিদে সংখ্যালগু পরিবার পূর্ব পূরুষের ভিটে মাটি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। আমরা পত্রপত্রিকায় মাধ্যমে জানতে পারলাম, পরাগ মন্ডল তার বাবা মায়ের একমাত্র পুত্র সন্তান এবং শিশু পরাগই পরিবারের দুর্বলতম জায়গা। সুতরাং হতে পারে পরাগ অপহরনের মাধ্যমে পরিবারকে মানসিক ভাবে দূর্বল করে পরাগের পরিবারকে উচ্ছেদ করার একটি পায়তারা। যদি তাই হয়, তাহলে এটি মোটেও বিছিন্ন কোন ঘটনা নয়, বরং এটি পরিকল্পিত একটি ভয়ংকর ঘটনা, যা সংখ্যালগুদের উপর সংঘঠিত হয়েছে এমন অন্যান্য ঘটনার একটি ধারাবাহিকতা মাত্র। ***** অরুন চন্দ্র মজুমদার, ঢাকা, ১৭/১১/২০১২ইং

দীপাবলিতে এম এম কলেজ




দীপাবলিতে এম এম কলেজ

সরকারি এমএম কলেজে ১৯টি বিষয়ে আসন রয়েছে ৩ হাজার ২শ’ ২৫টি

বিমল রায় : শুরু হয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তির কার্যক্রম। এবার যশোরের সরকারি বেসরকারি ৩০টি কলেজে ৯ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। এসব কলেজের অনুকূলে গত ৮ নভেম্বর থেকে অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে। চলবে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত। ৭ ডিসেম্বর আবেদনকারীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত কয়েক বছরের মত এবারও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম বর্ষে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এবার যশোর জেলার ৩০টি কলেজে অনার্স ভর্তির সুযোগ পাবে শিক্ষার্থীরা। এসব কলেজে মোট আসন রয়েছে ৯ হাজার। যশোরের ৩০টি কলেজের মধ্যে সর্বাধিক আসন রয়েছে সরকারি এমএম কলেজে। এ কলেজের ১৯টি বিষয়ে আসন রয়েছে ৩ হাজার ২শ’ ২৫টি। তার মধ্যে বিজ্ঞানে ৬শ’ ৪০টি, মানবিকে ১ হাজার ৯শ’ ১৫টি এবং বাণিজ্য বিভাগে ৬শ’ ৭০টি। এখানে বিষয় অনুযায়ী আসন সংখ্যা হচ্ছে বাংলায় ২শ’ ১০টি, ইংরেজিতে ২শ’টি, অর্থনীতিতে ২শ’ ৩৫টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ২শ’ ৬০টি, ইতিহাসে ২শ’ ৫০টি, ভূগোলে ১শ’ ৫০টি, দর্শনে ২শ’ ১০টি, সমাজ বিজ্ঞানে ২শ’ ৬০টি, ইতিহাসে ৭০টি, ইসলামী শিক্ষায় ৭০টি, পদার্থ বিজ্ঞানে ১শ’টি, রসায়নে ১শ’টি, গণিতে ১শ’ ৮০টি, উদ্ভিদ ও প্রাণী বিজ্ঞানে ১শ’ টি করে, হিসাব বিজ্ঞানে ২শ’ ৩০টি, ব্যবস্থাপনায় ২শ’ ৮৫টি এবং মার্কেটিং ও ফিন্যান্সে ৫০টি আসন রয়েছে।
সরকারি সিটি কলেজে ৯টি বিষয়ে মোট আসন সংখ্যা ৮শ’ ৯৫টি। এর মধ্যে বাংলায় ১শ’ ৫০টি, ইংরেজিতে ৯০টি, অর্থনীতিতে ৯০টি, দর্শনে ৫০টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ২শ’টি, সমাজকর্মে ৯৫টি, হিসাব বিজ্ঞানে ১শ’ ২০টি, ব্যবস্থাপনায় ৫০টি ও উদ্ভিদ বিজ্ঞানে ৫০টি আসন রয়েছে।
সরকারি মহিলা কলেজে ৯টি বিষয়ে ৯শ’ ২০জন ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পাবে। বিষয় অনুযায়ী আসন সংখ্যা বাংলায় ১শ’ ৬০টি, ইংরেজিতে ৯০টি, অর্থনীতিতে ১শ’টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ১শ’ ৫টি, ইতিহাসে ১শ’ ৫টি, ভূগোলে ১শ’ ২০টি, দর্শনে ৭৫টি, ইসলামের ইতিহাসে ১শ’ ৫টি এবং ইসলামী শিক্ষায় ৬০টি।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে ৯টি বিষয়ে ৭শ’ ৩৫টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বাংলায় ৬০টি, অর্থনীতিতে ৯০টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ১শ’ ৫টি, সমাজকর্মে ১শ’টি, ইসলামের ইতিহাস ও ইসলামী শিক্ষায় ৫০টি করে, হিসাব বিজ্ঞানে ১শ’ ২০টি, ব্যবস্থাপনায় ২শ’ ২০টি এবং গণিতে ৪০টি আসন। যশোর শহরের ডাক্তার আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজে দুইটি বিষয়ে অনার্স চালু রয়েছে। এখানে সমাজ বিজ্ঞানে ৫০টি এবং হিসাব বিজ্ঞানে ৫০টি আসন রয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স খোলার আবেদন করা আছে। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি দিলে রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে এ তিনটি বিষয়েও শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবেন তারা।
যশোর কলেজে ২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। এখানে ইতিহাসে ৫০টি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫০টি আসন রয়েছে। উপশহর ডিগ্রি কলেজে ৫টি বিষয়ে ২শ’ ৫০জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। এখানে বিষয়ভিত্তিক আসন সংখ্যা হচ্ছে বাংলায় ৫০, সমাজবিজ্ঞানে ৫০, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫০, হিসাব বিজ্ঞানে ৫০ ও ব্যবস্থাপনায় ৫০টি।
উপশহর মহিলা কলেজে ৭টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। প্রত্যেকটির আসন সংখ্যা ৫০টি করে। বিষয়গুলো হচ্ছে বাংলা, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, হিসাববিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি। আল হেরা ডিগ্রি কলেজের ৩টি বিষয়ের প্রতিটিতে ৫০জন করে মোট ১শ’ ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। বিষয় তিনটি হচ্ছে হিসাব বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা ও সমাজ বিজ্ঞান।
যশোর সদরের কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজে একটি বিষয় অনার্স চালু আছে। এখানে বাংলায় ৫০জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। সিঙ্গিয়া আদর্শ ডিগ্রি কলেজেও বাংলায় ৫০জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। যশোর সদরের মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজে সমাজবিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫০জন করে মোট ১শ’ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
ঝিকরগাছা শহীদ মশিয়ূর রহমান ডিগ্রি কলেজে বাংলায় ও হিসাব বিজ্ঞানে ৫০জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। ঝিকরগাছা মহিলা কলেজে ২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। এখানে সমাজ বিজ্ঞান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫০জন করে ছাত্রী ভর্তি হতে পারবে।
গঙ্গানন্দপুর ডিগ্রি কলেজে এবার সমাজ বিজ্ঞানে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। এখানে আসন সংখ্যা ৫০টি। কেশবপুর ডিগ্রি কলেজে ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। এখানে বিষয়ভিত্তিক আসন সংখ্যা হচ্ছে ভূগোলে ৫০টি, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫০টি, হিসাব বিজ্ঞানে ৫০টি এবং ব্যবস্থাপনায় ৫০টি। মণিরামপুর ডিগ্রি কলেজে ৩টি বিষয়ে ২শ’ ৭০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ আছে। এখানে বিষয়ভিত্তিক আসন সংখ্যা হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ১শ’ ৫০টি, সমাজকর্ম ও ব্যবস্থাপনায় ৬০টি করে। মণিরামপুর মহিলা কলেজে ২টি বিষয়ে ৫০টি করে ১শ’ জন ছাত্রী ভর্তি হতে পারবে। বিষয় ২টি হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান। মণিরামপুরের মুক্তেশ্বরী ডিগ্রি কলেজে ২টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। বিষয় ২টিতে ১শ’ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। বিষয় ২টি হচ্ছে সমাজ বিজ্ঞান ও ভূগোল। নওয়াপাড়া ডিগ্রি কলেজে ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। এখানে বিষয়ভিত্তিক আসন সংখ্যা হচ্ছে অর্থনীতিতে ৫০, সমাজ বিজ্ঞানে ৫০, হিসাব বিজ্ঞানে ৫০ ও ব্যবস্থাপনায় ৫০টি।
বাঘারপাড়া ডিগ্রি কলেজে ২টি বিষয়ে ১শ’ জন শিক্ষার্থী অনার্স ভর্তি হতে পারবে। এখানকার বিষয় ২টি হচ্ছে বাংলা ও হিসাব বিজ্ঞান। বাঘারপাড়া মহিলা কলেজে ৪টি বিষয়ে ২শ’ জন ছাত্রী অনার্সে ভর্তি হতে পারবে। এখানে প্রতিটি বিষয়ে ৫০টি করে আসন রয়েছে। বিষয়গুলি হচ্ছে ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা। বাঘারপাড়ার খাজুরা শহীদ সিরাজউদ্দিন হোসেন ডিগ্রি কলেজে ৪টি বিষয়ে ২শ’ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। এখানকার বিষয়গুলি হচ্ছে, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, হিসাব বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা।
চৌগাছা ডিগ্রি কলেজে ২টি বিষয়ে অনার্স চালু আছে। এখানে প্রতিটি বিষয়ের আসন সংখ্যা ৫০টি করে। বিষয় ২টি হচ্ছে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ইতিহাস। চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজে ৩টি বিষয়ে ১শ’ ৫০জন ছাত্রী ভর্তি হতে পারবে। বিষয় ৩টি হচ্ছে সমাজবিজ্ঞান, ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান। চৌগাছার এবিসিডি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৫০জন করে ১শ’ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে।
শার্শার ডাক্তার আফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে হিসাব বিজ্ঞানে ৫০জন এবং ফজিলাতুননেছা মহিলা কলেজে সমাজ বিজ্ঞানে ৫০জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে। এছাড়া নাভারণ ডিগ্রি কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স খোলার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অনুমতি দিলে তারা রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে।
এদিকে গত বছর অনার্স ভর্তিতে নানা জটিলতা থাকায় অনেক কলেজে আসন শূন্য রয়েছে। অথচ অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি হতে পারেনি। এবার বিষয়টি সহজ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন বিভিন্ন কলেজের কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি শিক্ষার্থী এবং নতুন অনার্স খোলা কলেজগুলোর স্বার্থে ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ করা উচিৎ। যাতে শিক্ষার্থীরা সহজেই ভর্তি হতে পারে। এ বিষয়ে যশোর কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক হোসেন শিম্বা জানান, আমরা আশা করছি এবার বিষয়টি সহজ করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Soovas Dutt is no more

Famous Director,writer, actor ,social worker Soovas Dutt is no more....

Dibban lokan sho goschuttu...

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১২

India on the night of Deepavali ( NASA )...LAST YEAR

India on the night of Deepavali ( NASA )...LAST YEAR

Deepavali is a public holiday in India, Bangladesh, Nepal, Sri Lanka, Myanmar, Indonesia, Malaysia, singapur,Mauritus, Suriname, Trinidad, Guyana and Fiji.
— with Rocky Saha and Dipankar Mazumder.

রবিবার, ১১ নভেম্বর, ২০১২

Latest story of LOVE JIHAD.

আজ শুক্রবার পুলিশ এক ‘গৃহবন্দী’ নারী চিকিৎসককে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। ওই চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে ঘরে তালাবদ্ধ করে বাইরে পাহারাদার রেখে এক মাস আগে হজে গেছেন। সিলেট নগরের মীরের ময়দান এলাকার কেওয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের তিলপাড়ার বাসিন্দা চিকিৎসক নন্দিতা সিনহা আহমেদ ১৯৮৬ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হূদরোগ বিশে
ষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদকে। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। নন্দিতা সিলেটের বেসরকারি হাসপাতাল জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক। নগরের মীরের ময়দান এলাকার কেওয়াপাড়ার নাবিদ ভিলার (পড়শী-২০৯) দ্বিতীয় তলায় তাঁরা থাকতেন।
নন্দিতার ভাই বিজিত সিনহা সিলেট কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, তাঁর বোনকে নিজ বাড়িতে বন্দী করে রেখে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন। এ অভিযোগ পেয়ে বেলা তিনটায় সিলেট কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহমো. মুবাশ্বিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কেওয়াপাড়ায় ওই বাসায় গেলে তালাবদ্ধ ফটকে নিয়োজিত পাহারাদার বাধা দেন। এ সময় দোতলা থেকে নন্দিতা নিজের পরিচয় দিয়ে তাঁর বন্দী থাকার বিষয়টি পুলিশকেজানান। তাঁকে অনবরত ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হয়েছে বলে চিৎকার করে বাবার বাড়ি যাওয়ার আকুতি জানান। এ সময় পুলিশ চিকিৎসক জুলফিকারের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশের ভাষ্য, আত্মীয়রা এ ব্যাপারে কোনো সহায়তা করতেরাজি হননি। পরে পুলিশ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল খালিককে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় বিকেল সাড়ে চারটায় নন্দিতাকে ঘরের তালা খুলে মুক্ত করা হয়।
চিকিৎসক নন্দিতা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এবিয়ের প্রতিবাদ জানানোয় তাঁকে প্রায় ছয় মাস ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে।
নন্দিতা প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, বাসার মূল ফটক ও সিঁড়ির ফটকে দুটো তালা দিয়ে শোবার ঘরের দরজায়ও আরেকটি তালা মেরে রাখা ছিল। খাবার দেওয়ার সময় ফটকে নিয়োজিত দুজন পাহারাদার সঙ্গে নিয়ে তাঁর স্বামীর আত্মীয়রা ঘরে ঢুকতেন। প্রায় এক সপ্তাহ আগে তিনি জানালা দিয়ে প্রতিবেশী একজনকে তাঁর ভাইয়ের নাম-ঠিকানা দিলে তিন ভাই পুলিশকে নিয়ে বাসায় আসেন। নন্দিতা বলেন, ‘আমি একজন চিকিৎসক। আমার স্বামী আমাকে পরিকল্পিতভাবে মানসিক রোগী বানানোর চেষ্টা করছেন। অযথা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আমাকে এক ধরনের ঘোরের মধ্যে রাখা হয়েছিল।’
চিকিৎসক জুলফিকারের ভগ্নিপতি পরিচয়দানকারী আ ন ম জাকির সাংবাদিকদেরবলেন, ‘আমরা জানি না কেন বন্দী করে রাখা হয়েছে। তবে কোনো কারণ নিশ্চয় আছে। না হলে চিকিৎসক দম্পতির ক্ষেত্রে এ ঘটনা ঘটত না।’ জাকির অবশ্য স্বীকার করেন, জুলফিকার হজে গেছেন এবং দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।
ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল খালিক বলেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ওই পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানি। নন্দিতা আমার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নির্যাতন করেন। হজে যাওয়ার আগে এভাবে স্ত্রীকে বাসায় বন্দী করে যাওয়াটা আসলেই একটি অমানবিকঘটনা।’
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহমো. মুবাশ্বির প্রথম আলোকে জানান, বাসায় থাকা নন্দিতার ছেলেমেয়ের ব্যাপারে তাঁর স্বামী এলে সিদ্ধান্ত হবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তাঁরা (নন্দিতার বাবার পরিবার) চাইলে যেকোনো আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
ita prothomalo sonbad
Muslim ra hindo maraige kora vog korer jano.then 2nd maraige kora kano muslim maya ka.....its their rule...

Courtesy :Nobodip Birwas

দীপাবলির শুভেচ্ছা


রাম সেতুর অস্তিত্ব প্রমান করল নাসা(NASA)

(ত্রেতা যুগে) রাক্ষসরাজ রাবণ সীতাকে অপহরণ করে নিয়ে যান এবং বন্দী করে রাখেন নিজ রাজ্য লঙ্কায় । অতঃপর সীতাপতি ভগবান শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কা আক্রমণের উদ্দেশ্যে ভ্রাতা লক্ষন, ভক্ত হনুমান এবং এক বিশাল বানর বাহিনী নিয়ে সমুদ্রতীরে এসে উপস্থিত হন । কিভাবে তিনি সাগর পাড়ি দিয়ে লঙ্কায় যাবেন? তখন বানরসেনারা পরমেশ্বর ভগবান শ্রীরামের পবিত্র নাম পাথরে লিখে সমুদ্রে পথে
একটি পাথরের সেতু তৈরি করেছিলেন । শ্রীরামনাম খচিত সেই পাথরগুলো অত্যন্ত আশ্চর্যজনকভাবে জলে নিক্ষেপের পর নিমজ্জিত না হয়ে ভেসে উঠেছিল । ভগবানের দিব্যনাম যে কত মহিমাপূর্ণ তারই দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এ লীলার অবতারনা করেছিলেন । সেতুটি ভারতের দক্ষিন উপকূলকে লঙ্কার সাথে যুক্ত করল । এই সেতু দিয়ে রাম তার হনুমান বাহিনী নিয়ে লঙ্কা জয় করে সীতাকে উদ্ধার করলেন । সেই থেকে এই সেতুর নাম রাম সেতু । এই ঘটনাটির উল্লেখ রয়েছে সনাতন ধর্মীয় শাস্ত্র ‘রামায়ণে’ । সারাবিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, বাস্তবে এই সেতু ছিল এবং এখনো আছে । কিন্তু এটি কি নিছক ধর্মবিশ্বাস নাকি এর কনো বাস্তবিক ভিত্তি রয়েছে ।

সম্প্রতি বিশ্ববিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা(NASA) তাদের নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) সাহায্যে রামায়ণে উল্লেখিত সুনির্দিষ্ট সেই স্থানেই রাম সেতু চিন্হিত করেছে, নাসা আরও জানিয়েছে, সেতুটি ৩০ কি.মি. দীর্ঘ যা বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু প্রদেশের রামেশ্বরম দ্বীপ থেকে শ্রীলঙ্কার তালাই মানার পর্যন্ত বিস্তৃত । এছাড়া ‘Google earth’ এর সাহয্যেও ইন্টারনেটে রাম সেতুর পাথরগুলোর সুস্পষ্ট ছবি, ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে যা নিঃসন্দেহে শ্রীরামচন্দ্র ও রামসেতুর অস্তিত্বকে স্বীকার করে । শ্রীলঙ্কার ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন স্থানে গবেষণা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, বাস্তবেই রাম শ্রীলঙ্কায় এসেছিলেন এবং শ্রীলঙ্কাই রাময়নের লঙ্কা । এই বিশাল সেতুটি রামভক্ত নলের সুতত্ত্বাবধানে মাত্র ৫ দিনেই নির্মিত হয়েছিল ! — re posted

লিখেছে সুশান্ত বন্দ

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১২

মানব বন্ধন করেন এম এম কলেজ, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ


রামায়ন-এর বৈজ্ঞানিক প্রমান(পর্ব -১)

রামায়নের কাহিনী কার না জানা ,সবাই কম বেশ জানেন । রামায়ন নিয়ে বাংলায় অনেক প্রবাদ ও আছে । রামায়নে আজ থেকে অনেক বছর আগে এই সেতু সম্পর্কে বলা হয়েছিল ।
সেই সেতুর কথা মনে আছে যেখান দিয়ে রাম পার হয়েছিলেন উত্ত

াল সমুদ্র ।সেই সেতুর চিহ্ন এখনো মুছে যায়নি । আজ এই একুশ শতকে এসে আমরা খুঁজে পেয়েছি সেই রাম সেতু । নাসার বিজ্ঞানীরা এটি ইতিমধ্যেই প্রমান করেছেন ।এই সেতু ভারত
এবং শ্রীলংকার মাঝে তৈরিকৃত একসেতু যাকে কেউ মনে করে আদম এর সেতু । তারা মনে করে আদম নাকি এই সেতু বানিয়ে পাড়ি দিয়েছিল ভারত মহাসাগর । কথা হল তাহলে কেন অন্য কোন সাগর মহাসাগরে এরকম কোন সেতু নাই । এর উত্তর কারো কাছেই নাই । এর সহজ উত্তর হল আদমের সেতু নামে যে সেতু এখানে আছে এই সেতু শ্রীরাম চন্দ্রের বানানো সেই সেতু ।আসুন দেখে মুগ্ধহই সেই সেতু ।
Courtesy: Sanatan scripture
পরবর্তী পোষ্টে দেখতে পাবেন সেই আশ্চর্যকর ভাসমান পাথর যা দিয়ে এই সেতু বানানো হয়েছিল ।
চলবে . . .
আরো জানতে Google এ সার্চ করবেন 'Ram setu' লিখে ।

বিঃদ্রঃ আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা পর্ব করে লিখে । তা না হলে অনেকেই বিরক্ত হন অনেকেই আবার আনলাইক দিয়ে বের হয়ে যান ।

:: দুঃসহ যন্ত্রণায় হিন্দু মেয়েটি ::

দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি | তারিখ: ০৮-১১-২০১২

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের এক কিশোরী (১৫) ধর্ষণের শিকার হয় গত ফেব্রুয়ারি মাসে। বর্তমানে সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দিয়ে বিপদে পড়েছে ওই কিশোরীর পরিবার। আসামি প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং বাদীপক্ষকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। পুলিশও আসামিদের গ্রেপ্তার করছে না।
ওই কিশোরীর পরিবার ও

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দিরাইয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিবেশী কয়েকজন নারীর সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন একই উপজেলার উজান ধল গ্রামের ফরিদ মিয়া (২১)। ফরিদের আত্মীয়স্বজন প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা এত দিন চাপা ছিল। গ্রামবাসীর সহায়তায় কিশোরীর দিনমজুর বাবা গত ২১ সেপ্টেম্বর ফরিদসহ কয়েকজনকে আসামি করে দিরাই থানায় মামলা করেন।
ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর কাকা এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘মামলা করে আমরা বিপদে পড়েছি। দিরাই থানার দারোগা (এসআই) আমার কাছে প্রথমে দুই হাজার টাকা চান। এরপর চার হাজার টাকা দিতে বলেন। আমরা গরিব মানুষ, এত টাকা কোথায় পাব? তখন দারোগা সাব আমাকে ধমক দেন এবং মারতে এগিয়ে আসেন। মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়, আসামিরা আমাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দিরাই থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) মকবুলুর রহমান টাকা চাওয়ার কথা স্বীকার করলেও ধমক এবং মারতে উদ্যত হওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি টাকা চেয়েছি ধর্ষণের শিকার কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় খরচ হওয়া টাকা তুলতে। এ টাকা কি আমি পকেট থেকে দেব?’ বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে বলেও জানান এসআই।
মানবাধিকার-বিষয়ক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনরিটিজের সিলেট বিভাগীয় প্রতিনিধি রাকেশ রায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এত বড় ঘটনার পরও আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে—এটা দুঃখজনক। আমরা মেয়েটি ও তার পরিবারকে আইনি সহায়তা দেওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।’

কলাপাড়ায় রাস মেলা ও গঙ্গাস্নান উপলক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি

উত্তম কুমার হাওলাদার, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে : কলাপাড়ায় শ্রী কৃষ্ণের রাস লীলা ও মেলা এবং কুয়াকাটায় গঙ্গা¯œান উপলক্ষ্যে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে ঐতিহ্যবাহী কলাপাড়া শ্রী শ্রী মদন মোহন সেবাশ্রম আঙ্গিনায় এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে আগামী ২৭ নভেম্বর মঙ্গলবার থেকে ১ ডিসেম্বর শনিবার এ পাঁচ দিন রাস লীলা ও মেলা উদ্যাপন সুষ্ঠু ভাবে পালনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেলা উদ্যাপন কমিটির আহবায়ক কমল কৃষ্ণ হাওলাদারের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্তিত থেকে বক্তব্য রাখেন, সেবাশ্রমের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ভুপেন্দ্র নাথ বিশ্বাস সেবাশ্রমের সভাপতি ও কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বিপুল চন্দ্র হাওরাদার, সাধারন সম্পাদক এড্যভোকেট নাথুরাম ভৌমিক। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতুল চন্দ্র সরকার, পরেশ পাইক, আনন্দ সুকুল, প্রশান্ত মজুমদার, সুখ রঞ্জন তালুকদার, কার্ত্তিক চন্দ্র হাওলাদার প্রমুখ।

প্রথম কোনো হিন্দু পা রাখলেন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে

আমেরিকা থেকে এই প্রথম কোনো হিন্দু পা রাখলেন হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে ,অনেক অনেক অভিনন্দন তুলসী গেবার্ড কে । বিরাট ব্যাবধানে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন তিনি । উল্লেখ্য তুলসীর সাথে ভারতের কোনো সংযোগ নেই । তার বাবা হাওয়াইয়ের স্টেট সিনেটর মাইক গেবার্ড ও মা ক্যারল গেবার্ড শিক্ষাবিদ ।

কিশোর বয়স থেকে সনাতন ধর্মের প্রতি অনুরক্ত এবং এই ধর্মে দীক্ষিত হন তিনি ।


আমেরিকার প্রথম হিন্দু কংগ্রেসম্যান তুলসী গেবার্ড নির্বাচিত ডেমোক্রিট প্রার্থী হিসেবে House of Representatives- এ পবিত্র গীতা ছুঁয়ে শপথ নিবেন।
অনেক অনেক অভিনন্দন তুলসীকে...

America's First Ever Hindu Congresswoman Will Take the Oath of O

ffice Over the Holy Bhagavad Gita

When she's sworn in this January, she'll take her oath of office over a Bhagavad Gita, a sacred text for followers of the Hindu. According to HuffPo, Gabbard's favorite verses include,

— "That which pervades the entire body you should know to be indestructible. No one is able to destroy that imperishable soul." (2:17)
— "The soul can never be cut into pieces by any weapon, nor can he be burned by fire, nor moistened by water, nor withered by the wind."(2.23)

Gabbard hopes that her faith will help her to assist the US in fostering a better relationship with India, where a large portion of the population is Hindu.

http://jezebel.com/5958635/americas-first-ever-hindu-congresswoman-will-take-the-oath-of-office-over-the-bhagavad-gita


৩৩কোটি দেবতা -কৃত ব্যপারটা দেখে নেয়া যাক


হিন্দুধর্মের অত্যন্ত প্রচলিত একটা মিসকনসেপসন হল ৩৩কোটি দেবতা।প্রকৃত ব্যপারটা দেখে নেয়া যাক।

দুইটা পয়েন্ট দেখে আলোচনা করব।একটা হল "কোটি" শব্দটির অর্থ নিয়ে।আরেকটা হল "দেবতা" শব্দটা নিয়ে।প্রথমেই কোটি শব্দটি নিয়ে বলি।কোটি অর্থ প্রচলিত বাংলায় Crore হলেও সংস্কৃত ভাষায় তার অর্থ"ধরন" বা "প্রকার"।আর বেদ এ দেবতা বলতে কোন শব্দ নেই।মুল সংস্কৃত শব্দটি হল দেব যার অর্থ শক্তি।অর্থাত্‍ ঈশ্বরের ৩৩ধরনের শক্তি।এ বিষ
য়ে প্রথমেই যজুর্বেদ এর একটি মন্ত্র দেখে নেয়া যাক-

ত্রয়স্ত্রিং শতাস্তুবত ভুতান্য শাম্যন্ প্রজাপতিঃ।
পরমেষ্ঠ্যধিপতিরাসীত্‍।।

যজুর্বেদ ১৪.৩১

অর্থাত্‍ যাঁহার প্রভাবে গতিশীল প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিতহয়,প্রজার পালক, সর্বব্যপক,অন্তরীক্ষে ব্যপ্ত,,তাঁহার মহাভূতের তেত্রিশ প্রকার গুনের স্তুতি কর।

এখন তেত্রিশ ধরনের শক্তির ব্যখ্যা দেখা যাক।শতপথ ব্রাহ্মন ১৪.৫ এ যাজ্ঞবল্ক্য ঋষি শাকল্যকে বলছেন-দেব ৩৩টি যা পরমেশ্বরের মহিমার প্রকাশক।৮ বসু,১১রুদ্র,১২ আদিত্য,ইন্দ্র,প্রজাপতি।
শতপথ ব্রাহ্মন,
মনুসংহিতা ও বৃহদারন্যক উপনিষদ এ এর বিস্তারিত বর্ননা দেয়া আছে।

বৃহদারন্যক উপনিষদ ৩.৯.২-১১
"বিদগ্ধ শাকল্য যাজ্ঞবল্ক্যকে জিজ্ঞেস করলেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব(শক্তি) কয়টি? যাজ্ঞবল্ক্য বললেন ৩৩টি।তখন শাকল্য আবার বললেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?তখন তিনি আবার বললেন ৬টি।শাকল্য আবার বললেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?তখন যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিলেন ৩টি।আবার শাকল্য জিজ্ঞেস করায় তিনি উত্তর দিলেন দুইটি।তখন শাকল্য আবার জিজ্ঞেস করলেন,হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?তখন যাজ্ঞবল্ক্য বললেন দেড়টি।শাকল্য আবার জিজ্ঞেসকরলেন হে যাজ্ঞবল্ক্য দেব কয়টি?তখন তিনি বললেন একটি!তখন শাকল্য জিজ্ঞেস করলেন এই ৩৩টি দেব কি?যাজ্ঞবল্ক্য বললেন ৮বসুযা হল অগ্নি,পৃথিবী,
বায়ু,অন্তরীক্ষ,
আদিত্য,দ্যৌ,
চন্দ্র,নক্ষত্র, ১১ রুদ্র যা হল প্রান(নিশ্বাস), অপান(প্রশ্বাস), ব্যন,সমান,উদাম, নাগ, কুর্ম্ম,কৃকল,দেবদত্ত, ধনন্জয় এবং জীবাত্মা,১২ আদিত্য হল ১২মাস,ইন্দ্র,প্রজাপতি অর্থাত্‍ মোট ৩৩টি।ইন্দ্র হল বিদ্যুত্‍ আর প্রজাপতি হল যজ্ঞ(যে কোনশুভ কর্ম)।তখন শাকল্য আবার জিজ্ঞেস করলেন তাহলে ৬টা দেব কি কি?
তখন তিনি উত্তর দেন অগ্নি,পৃথিবী,
বায়ু,অন্তরীক্ষ, আদিত্য,দ্যুঃ।তখন তিনি বললেন তাহলে ৩টি দেব কি?তখন যাজ্ঞবল্ক্য বললেন তিনলোক(ভ্যু,দ্যু,অন্তরীক্ষ)।তারপর শাকল্য আবার বললেন সেই দুইটি দেব কি কি?খাদ্য এবং প্রান-উত্তর দিলেন যাজ্ঞবল্ক্য।তখন আবার শাকল্য জিজ্ঞেস করলেন সেই দেড়টি কি?তখন যাজ্ঞবল্ক্য উত্তর দিলেন যিনি প্রবাহিত হন।তখন শাকল্য বললেন সেই এক এবং অদ্বিতীয় যিনি প্রবাহিত হন তাঁকে আপনি কিভাবে দেড় বললেন?তখন যাজ্ঞবল্ক্য বললেন যখন তা প্রবাহিত হয় তখন ই সবকিছু উত্‍পন্ন হতে শুরু করে।তাহলে কে সেই এক?
প্রান!!!হ্যঁ প্রান(পরমাত্মা) সেই এক এবং অদ্বিতীয় দেব যাকে সবাই তত্‍ বলে জানে"
অসাধারন এই শৈল্পিক ও গভীর দার্শনিক কথোপকথন ব্যখ্যা করছে সেই এক এবং অদ্বিতীয় পরব্রহ্ম থেকে সবকিছু উত্‍পন্ন হতে শুরু করে।একে একে অগ্নি,বায়ু,আদিত্য,ভু,দ্যু এবং অন্তরীক্ষলোক,
বিদ্যুত্‍শক্তি সবকিছুই তার থেকে তৈরী হয় যাদেরকে ৩৩টি ভাগে ভাগ করা হয় এবং এদেরকে বলা হয় দেব অর্থাত্‍ শক্তি।আর দিনশেষে শক্তি একটাই যা থেকে সকল কিছু আপাতশক্তিপ্রাপ্ত হয়।আর এই শক্তিই এক এবং অদ্বিতীয় পরমাত্মা।
আশা করি এর মাধ্যমে দেবতা এবং ৩৩কোটি দেবতা সম্বন্ধে আপনাদের ভুলধারনা দুর হবে।
 
 

দ্বারকা নগরীর সন্ধানলাভ -



সমুদ্রের নিচে শ্রীকৃষ্ণের লীলা স্থানেরসন্ধান লাভ:
দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালন”- এই মহান ব্রত নিয়েই ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে এই ধরাধামে আবির্ভূত হন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীর অরাজকতা, অশান্তিকে দুর করে
তিনি শান্তির বাণী শুনিয়েছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রাকৃতিক অলৌকিক শক্তির অধিকারি১৯৮৩ সাল থেকে ভারতীয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশিয়ানোগ্রাফি মাধ্যমে মেরিন আরকিওল
জি টিম নিযুক্ত থেকে বর্তমানে তারা ভারতের উপকূলবর্তী গুজরাট এর দ্বারকা(নতুন) সমুদ্র তীর থেকে অনেক দূরে সমুদ্রের জলের নিচে পৌরাণিক শহর দ্বারকা রাজ্য অনুসন্ধান পায়
শক্তিশালী প্রত্নতাত্ত্বিক সমর্থিত দ্বারকা রাজ্যভারতের সবচেয়ে সম্মানিত এক আরকিওলজিস্ট Dr. S R Rao এর নেত্রিতে কাজতি পরিচালনা করা হয়
300 খ্রিস্টপূর্বাব্দে শ্রী কৃষ্ণের এবং বলরামের স্মৃতি বিজরিত এবং তাদের বংশ এবং একটি মন্দির দেহাবশেষের ছারও শ্রী কৃষ্ণের পুত্রদের নাম খুদাই করা কিছু শিলা পাথরের অনুসন্ধান পাওয়া যায়কংসকে হত্যা করবার পর কৃষ্ণ মথুরার রাজা হলেনএদিকে জরাসন্ধ কৃষ্ণের বিরূদ্ধে তাঁর জামাতাকে হত্যা করবার অপরাধে প্রতিহিংসা নেবার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন এবং বারবার মথুরা আক্রমণ করতেলাগলেন
মথুরা রাজ্য সমতল ভূমিতে থাকায় জরাসন্ধ অতি সহজেই শ্রী কৃষ্ণের রাজ্য চারিদিক থেকে ঘিরে আক্রমন করতে পারতেনআঠারো বার ব্যর্থ হওয়ার পর জরাসন্ধ কালযবন নামে একজন মহাশক্তিশালী রাজার সাহায্য নিয়ে মথুরা আক্রমণ করতে এগোলেনতাই কৃষ্ণ যখন সংবাদ পেলেন যে জরাসন্ধ এবার আর একা নন, কালযবন আসছেন তাঁর সঙ্গে মথুরা আক্রমণ করতেকৃষ্ণ এবং তার সেনারা মিলে সিধান্ত নিলেন এমন এক জায়গায় রাজ্য বানাতে হবে যেটা থাকবে নদীর তীরেতখন তিনি রণে ভঙ্গ দিয়ে মথুরা ছেড়ে দ্বারকায় চলে যাওয়াই সুবিবেচনা মনে করলেন
কৃষ্ণের প্রথম জীবন মথুরায় কাটলেও শেষ জীবন কেটেছে দ্বারকায়দ্বারকা পবিত্র স্থান
এখানে গোমতী গঙ্গা সমুদ্রে এসে মিলিত হয়েছেনগোমতীর তীরে দ্বারকার প্রাচীন শহরে আছে রণছোড়জীকৃষ্ণের বিখ্যাত মন্দিরটি
ছাপ্পান্নটি সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে উঠলে মন্দিরের স্বর্গদ্বারশহরের দিকে মন্দিরের সিংহদ্বারের নাম মোক্ষদ্বারএই মন্দিরের মত এত ভারী ভারী রূপার দরজা খুব কম মন্দিরেই আছেমন্দিরের প্রাঙ্গনে কৃষ্ণের আত্মীয় বর্গের সঙ্গে সঙ্গে শ্রীরাধার মন্দিরও আছেআর আছে মন্দিরের সংলগ্ন ক্ষেত্রেশঙ্করাচার্য্য স্থাপিত সারদা মঠ

Photo: Darwaka
Let's Say- Hare Krishna

তথ্যসূত্রঃ
| http://www.youtube.com/watch?v=nQZFS9Hij0M

|http://www.abovetopsecret.com/forum/thread657629/pg1

|http://img844.imageshack.us/img844/6476

Courtesy:Hindu Mohajote
 

যেমন কর্ম তেমন ফল !!

আজ শুক্রবার পুলিশ এক ‘গৃহবন্দী’ ধর্মান্তরিত নারী চিকিৎসক নন্দিতা সিনহাকে তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। ওই চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে ঘরে তালাবদ্ধ করে বাইরে পাহারাদার রেখে এক মাস আগে "হজে" গেছেন।

চিকিৎস

ক নন্দিতা সিনহা আহমেদ ১৯৮৬ সালে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হূদরোগ বিশেষজ্ঞ জুলফিকার আহমেদকে।

নন্দিতার ভাই বিজিত সিনহা সিলেট কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, তাঁর বোনকে নিজ বাড়িতে বন্দী করে রেখে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় তিনি মারা যেতে পারেন। এ অভিযোগ পেয়ে বেলা তিনটায় সিলেট কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ মো. মুবাশ্বিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কেওয়াপাড়ায় ওই বাসায় গেলে তালাবদ্ধ ফটকে নিয়োজিত পাহারাদার বাধা দেন। এ সময় দোতলা থেকে নন্দিতা নিজের পরিচয় দিয়ে তাঁর বন্দী থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানান।

তাঁকে অনবরত ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে রাখা হয়েছে বলে চিৎকার করে বাবার বাড়ি যাওয়ার আকুতি জানান। এ সময় পুলিশ চিকিৎসক জুলফিকারের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশের ভাষ্য, আত্মীয়রা এ ব্যাপারে কোনো সহায়তা করতে রাজি হননি। পরে পুলিশ স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল খালিককে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়। কাউন্সিলরের মধ্যস্থতায় বিকেল সাড়ে চারটায় নন্দিতাকে ঘরের তালা খুলে মুক্ত করা হয়।

চিকিৎসক নন্দিতা অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামী সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ বিয়ের প্রতিবাদ জানানোয় তাঁকে প্রায় ছয় মাস ধরে মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে।

ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল খালিক বলেন, ‘দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে ওই পরিবারে স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দ্বের বিষয়টি জানি। নন্দিতা আমার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে প্রায়ই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে নির্যাতন করেন। হজে যাওয়ার আগে এভাবে স্ত্রীকে বাসায় বন্দী করে যাওয়াটা আসলেই একটি অমানবিক ঘটনা।’

http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-11-09/news/304054
 
 

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১২

Kattyani Puja Schedule of 2012

Kattyani Puja Schedule of 2012. All are invited in Magura. The biggest Puja festival of Asia.

১৯ নভেম্বর ২০১২ সোমবার ষষ্ঠী (দিবা ৩.১০)
২০ নভেম্বর ২০১২ মঙ্গলবার সপ্তমী (দিবা ১.৪৬)
২১ নভেম্বর ২০১২ বুধবার অষ্টমী (দিবা ১২.৪৭)
২২ নভেম্বর ২০১২ বৃহস্পতিবার নবমী (দিবা ১২.১৬)
২৩ নভেম্বর ২০১২ শুক্রবার দশমী (দিবা ১২.১৫)
 

কাশি বিশ্বনাথ

ভারতের একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। এটি উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বারাণসীতে অবস্থিত। মন্দিরটি গঙ্গা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, কাশী বিশ্বনাথমন্দির " জ্যোতির্লিঙ্গ মন্দির" নামে পরিচিত শিবের বারোটি পবিত্রতম মন্দিরের অন্যতম। মন্দিরের প্রধান দেবতা শিব "বিশ্বনাথ" বা "বিশ্বেশ্বর" নামে পূজিত হন। বারাণসী শহরের অপর নাম"কাশী" এই কারণে মন্দিরটি "কাশী বিশ্বনাথ মন্দির " নামে পরিচিত।

মন্দিরের ১৫.৫ মিটার উঁচু চূড়াটি সোনায় মোড়া। তাই মন্দিরটিকে স্বর্ণমন্দিরও বলা হয়ে থাকে।
হিন্দু পুরাণে এই মন্দিরটির উল্লেখ পাওয়া যায়। মন্দিরটি শৈবধর্মের প্রধান কেন্দ্রগুলির অন্যতম। অতীতে বহুবার এই মন্দিরটি ধ্বংসপ্রাপ্ত ও পুনর্নির্মিত হয়েছে। মন্দিরের পাশে জ্ঞানবাপী মসজিদ নামে একটি মসজিদ রয়েছে। আদি মন্দিরটি এই মসজিদের জায়গাটিতেই অবস্থিত ছিল।



বর্তমান মন্দিরটি ১৭৮০ সালে ইন্দোরের মহারানি অহিল্যা বাই হোলকর তৈরি করে দেন। ১৯৮৩ সাল থেকে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই মন্দিরটি পরিচালনা করে আসছেন।
Sanatan Scripture(সনাতন শাস্ত্র)
"

প্রাত্যহিক জীবনে বেদের চেয়ে শ্রীমদ্ভাগবদগীতার প্রাধান্য কেন ?

বেদ আমাদের আদি ও প্রধম ধর্মগ্রন্থ । এই ধর্মগ্রন্থের বাণীগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিপর্তনীয় । এ জন্য এই গ্রন্থের বাণী বেদবাক্য নামে সমাজে পরিচিত । ঋগবেদে ইন্দ্র অগ্নি বরুণ সূর্য্য প্রভৃতি দেবতার স্তব স্তুতি আছে ।আমাদের ধর্ম যেহেতু মানব সভ্যতার আদি আর্য সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষেরা অনুসরণ করতো সেহেতু এই আর্যগণ এই সকল দেবতার স্তব স্তুতি করতো যা বেদে উল্লেখ রয়েছে ।তাঁরা এ সকল দেবদেবতার উদ্দেশ্যে যাগযজ্ঞ করে অভীষ্ট ফল লাভ করতেন ।বেদের প্রধান মূল কথা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা এক এবং অদ্বিতীয় । আমাদের ধর্মের পূর্বপুরুষ যারা আর্য নামে খ্যাত ছিল তারা জানতেন যে ইন্দ্র অগ্নি বরুণ প্রভৃতি দেবগণ ভগবানের শক্তির বিভিন্ন বিকাশ । বর্তমান বিজ্ঞান জগতে সূর্যকে সকল শক্তির উত্‍স মনে করা হয় । হিন্দু ধর্মে সূর্যকে তাই দেবতা মনে করে সূর্যদেব বলা হয় । সূর্যদেবতার ক্ষমতা জানার পর হিন্দুরা সূর্যকে পূজা করতে শিখল । অন্যদিকে সূর্যের উপস্থিতিতে উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণ করে এবং খাদ্য তৈরী করে তারাই সকল প্রাণী জগতকে এই ধরাধামে ট
িকিয়ে রেখেছে । তাই আমরা সকল প্রাণী উদ্ভিদের অতিথি ।

এই সময় যাগযজ্ঞাদির প্রাধান্য সমাজে খুবই বৃদ্ধি পায় । বৈদিক ধর্ম তখন কর্ম প্রধান হয়ে উঠল । ঋগবেদ, সামবেদ ও যজর্বেদে এই ধর্মই প্রতিপাদিত হল ।ব্রাহ্মন গ্রন্থগুলি যজ্ঞের নিয়ম কানুনে পরিপূর্ণ হইল ।ফলে কেবল কর্ম দ্বারা স্বর্গ লাভ হয় এই মতবাদ প্রচলিত হল । কিন্তু এই মতবাদ সকলের মনঃপুত হল না এবং এমনকি সকলের গ্রহণযোগ্যতা ও লাভ করল না । তারা চিন্তা করলেন ঈশ্বরকে জানতে না পারলে মানুষের কিছু মোক্ষলাভ অর্থাত্‍ ঈশ্বরকে লাভ করা সম্ভব নয় । ঈশ্বরকে জানতে হলে জ্ঞানের দরকার ।

এমতাবস্থায় বৈদিক ধর্মে দুইটি রূপ দেখা দিল । একটি হল কর্ম প্রধান ধর্ম অপরটি হল জ্ঞান প্রধান ।কর্ম প্রধান রূপে কর্মকে এজগতে সকল সুখ শান্তি লাভ এবং পরকালে স্বর্গপ্রাপ্তি বলে বিবেচনা করা হয় ।আর জ্ঞান প্রধান ধর্মে ব্রহ্মকে সত্য বলে ধরে নেয়া হয় এবং জগত সংসার মিথ্যা বা মায়ার বন্ধন বলে বিবেচনা করা হয় ।

উপরোক্ত দুটি মতবাদে সমাজে চলতে থাকায় মানুষ বিব্রতবোধ করলো এবং কোনটা সঠিক বলে মেনে চলা উচিত তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়লো ।এমনি এক সংকটজনক মূহুর্তে আর্বিভূত হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ।তিনি কর্মবাদ জ্ঞানবাদ ও ভক্তিবাদের প্রবর্তন করে শ্রীগীতার কর্ম জ্ঞান ও ভক্তি সমন্বয় সাধন করলেন।কুরুক্ষেত্রের ধর্ম যুদ্ধে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই সমন্বয়ের প্রকাশ অর্জুনকে করলেন যেখানে সপ্তশতী শ্লোকের মাধ্যমে এই অমিয় বাণী ব্যক্ত হয় ।

শ্রীগীতার প্রথম কথা হলো নিষ্কাম কর্ম কর । এভাবে কাজ করতে করতে জ্ঞানের উদয় হবে । আর জ্ঞান বলে কর্মী বুঝতে পারবেন ভগবানই হচ্ছে সকল কারণের কারণ এবং এ সমস্থ সকল কাজ ভগবানের জ্ঞান সাধনায় ভক্তি আসে । ভক্ত মন প্রাণ উজাড় করে ভগবানকে আত্মসমর্পন করলে মোক্ষলাভ হয় । শ্রীমদ্ভাগবদগীতায় আমাদের প্রাত্যহিক চলার দিক নির্দেশনা অতি সুন্দরভাবে বিস্তৃত হওয়ায় বেদের চেয়ে এই গ্রন্থের পঠন ও অনুশীলন , প্রশিক্ষণ ও আত্মস্থ করা হয় সবচেয়ে বেশী ।

লিখেছেন-
অধ্যাপক ড.অমূল্য বিকাশ বসাক
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।

ভাগবতের আলোকে সূর্য (Vedic Concept Of Sun)

ভাগবতের আলোকে সূর্য (Vedic Concept Of Sun)

সূর্যের ব্যাস ও দূরত্ব (Diameter & Distance of Sun)

ভাগবতে বর্ণনা করা হয়েছে সূর্য পৃথিবী থেকে ১ কোটি যোজন বা ৮ কোটি মাইল দূরে অবস্থিত ।

সূর্যের ব্যাস ----

যদদস্তরণের্মন্ডলং প্রতপতস্তদ্বিস্তদ্বিস্তরতো যোজনাযুতমাচক্ষতে দ্বাদশসহস্রং সোমস্য ত্রয়োদশসহস্রং রাহোর্যঃ পর্বণি তদ্ব্যবধানকৃদ্ বৈরানুবন্ধ সূর্যাচন্দ্রসাবভিধাবতি ।। (ভাগবত ৫/২৪/২)
অনুবাদ
তাপের উৎস সূর্যমন্ডল ১০,০০০ যোজন এবং রাহুমন্ডলের বিস্তার ৩০,০০০ যোজন । পূর্বে অমৃত বিতরণের সময়, রাহু সূর্য এবং চন্দ্রের মধ্যে ব্যবধান সৃষ্টি করিয়া শত্রুতা সৃষ্টি করিতে চেষ্টা করিয়াছিল । রাহু সূর্য এবং চন্দ্র উভয়েরই প্রতি বেরীভাবাপন্ন এবং তাই সে প্রত্যেক অমাবস্যা ও পূর্ণিমাতে তাহাদের আচ্ছাদিত করিতে চেষ্টা করে ।

এই শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে, সূর্যের ব্যাস বা বিস্তার ১০,০০০ (দশ হাজার) যোজন অর্থাৎ ৮০,০০০ (আশি হাজার) মাইল । সূর্যের ব্যাস বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন ৮৬,৫০০ (ছিয়াশি হাজার পাঁচশত) মাইল ।

পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব -----

ভূমে র্যোজনলক্ষে তু সংস্থিতং রবিমণ্ডলম্ ।
যোজনানাং সহস্রাণি দশৈব পরিসংখ্যায় ।। (শিবপুরাণম্ ধর্মসংহিতা অধ্যায় ৩৫/২)
অনুবাদ
ভূমি হইতে শত লক্ষ যোজন দূরে রবিমন্ডল অবস্থিত যাহা পরিসংখ্যানের মাধ্যমে জানা যায় ।

এই শ্লোকে বর্ণনা করা হয়েছে, পৃথিবী হতে সূর্যের দূরত্ব ১ কোটি যোজন বা ৮ কোটি মাইল ।
বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন পৃথিবী হতে সূর্যের দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল প্রায় এবং সূর্যের ব্যাস পৃথিবী ব্যাসের প্রায় ১১০০ গুণ অর্থাৎ ৮৬,৫০০ মাইল বা ১৩৯২০৪৪.৫০ কিলোমিটার । এখানে দেখা যাচ্ছে সূর্যের দূরত্ব এবং ব্যাস বিষয়ে বিজ্ঞানীদের ধারণা ভাগবতের খুব কাছাকাছি ।

সনাতন ধর্মে বর্ণপ্রথা

বর্ণপ্রথা-বর্তমান সময়ে হিন্দুসমাজের অন্যতম বড় শত্রু।কিন্তু প্রকৃত সত্য কি?অনেকেই হয়তো জানেন।তবু যারা জানেন না তাদের জন্য আরেকবার বেদের আলোকে আলোচনা করছি।

প্রথমেই নামের বিষয়টা খেয়াল করা যাক।মূল এবং সঠিকনাম হচ্ছে বর্ণাশ্রম।এখানে বর্ণ শব্দটি এসেছে 'Vrn' root থেকে যার অর্থ 'To choose বা পছন্দ করা অর্থাত্‍ পছন্দ অনুযায়ী আশ্রম বা পেশা নির্ধারন।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের সমাজে এখন একে জন্মসূত্রে বিবেচনা করা হয়।ভট্যাচার্য, চট্যপাধ্যায় নামের পাশে থাকলেই ব্রাক্ষ্মন অথবা দাস,রায় থাকলেই শূদ্র এরকম হাস্যকর কিছু ধারনা প্রচলিত।আমি বুঝিনা কি করে মানসিকভাবে সুস্থ বলে পরিচিত এই আমরা এগুলো বিশ্বাস করি!চলুন দেখা যাক বেদ এ ব্যাপারে কি বলে।

ঋগবেদ ১.১১৩.৬
"একজন জ্ঞানের উচ্চ পথে(ব্রাক্ষ্মন ,অপরজন বীরত্বের গৌরবে(ক্ষত্রিয়) , একজন তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে(পেশাভিত্তিক)­, আরেকজন সেবা এর পরিশ্রম এ(শূদ্র)। সকলেই তার ইচ্ছামাফিক পেশায়,সকলের জন্যই ঈশ্বর জাগ্রত।

ঋগবেদ ৯.১১২.১
একেকজনের কর্মক্ষমতা ও আধ্যাত্মিকতা একেকরকম আর সেঅনুসারে কেউ ব্রাক্ষ্মনকেউ ক্ষত্রিয় কেউ বেশ্য কেউ শূদ্র।

ব্রাক্ষ্মন কে?

ঋগবেদ ৭.১০৩.৮
যে ঈশ্বরের প্রতি গভীরভাবে অনুরক্ত, অহিংস,সত্‍,নিষ্ ঠাবান, সুশৃঙ্খল,বেদ প্রচারকারী, বেদ জ্ঞানী সে ব্রাক্ষ্মন।

ক্ষত্রিয় কে?

ঋগবেদ ১০.৬৬.৮
দৃড়ভাবে আচার পালনকারী, সত্‍কর্মের দ্বারা শূদ্ধ, রাজনৈতিক জ্ঞান সম্পন্ন,অহিংস,ঈ শ্বর সাধক,সত্যের ধারক ন্যায়পরায়ন,বিদ্ বেষমুক্ত ধর্মযোদ্ধা,অসত্ ‍ এর বিনাশকারী সে ক্ষত্রিয়।

বৈশ্য কে?

অথর্ববেদ ৩.১৫.১
দক্ষ ব্যবসায়ী দানশীল চাকুরীরত এবং চাকুরী প্রদানকারী

শূদ্র কে?

ঋগবেদ ১০.৯৪.১১
যে অদম্য,পরিশ্রমী, অক্লান্ত জরা যাকে সহজে গ্রাস করতে পারেনা,লোভমুক্ত কষ্টসহিষ্ণু সেই শূদ্র।

এ হচ্ছে নির্ভেজাল যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যবস্থা। যেমনভাবে এখনকার সময়ে ডিগ্রী প্রদান করা হয়, যজ্ঞপবিত দেয়া হতো বৈদিক নিয়ম অনুসারে। তাছাড়া, আচরণবিধির সাথে অসম্মতি ঘটলে যজ্ঞপবিত নিয়ে নেয়া হতো বর্ণগুলোর। ডাক্তার এর ছেলে যেমন ডাক্তার হবেই এমন কোন কথা নেই।ডাক্তার এর ঘরে জন্ম নিলেই এম.বি.বি.এস এর সার্টিফিকেট যেমন পাওয়া যায়না ঠিক তেমন ব্রাহ্মন এরঘরে জন্ম নিলেই ব্রাহ্মন হওয়া যায়না।বৈদিক বর্নাশ্রম ও একই।

বৈদিক ইতিহাসে অনেক উদাহরণ রয়েছে এ ধরনের-

(ক) ঋষি ঐতরেয়া ছিলেন দাস বা অপরাধীর পুত্র কিন্তু তিনি পরিণত হন শীর্ষ ব্রাহ্মণদের মধ্যে একজন এবং লেখেন ঐতরেয়া ব্রাহ্মনএবং ঐতরেয়াপোনিষদ। ঐতরেয়া ব্রাহ্মনকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয় ঋগবেদ বোঝারজন্য।

(খ) ঋষি ঐলুশ জন্মেছিলেন দাসীর ঘরে যিনি ছিলেন জুয়াখোর এবং নিচু চরিত্রের লোক। কিন্তু এই ঋষি ঋগবেদের উপর গবেষণা করেন এবং কিছু বিষয়আবিষ্কার করেন। তিনি শুধুমাত্র ঋষিদের দ্বারা আমন্ত্রিতই হতেন না এমনকি আচার্য্য হিসেবেও অধিষ্ঠিতহন। (ঐতরেয়া ব্রহ্ম ২.১৯)

(গ) সত্যকাম জাবাল ছিলেন এক পতিতার পুত্র যিনি পরে একজনব্রাহ্মণ হন।

(ঘ) প্রীষধ ছিলেন রাজা দক্ষের পুত্র যিনি পরে শূদ্র হন। পরবর্তীতে তিনি তপস্যা দ্বারা মোক্ষলাভ করেন প্রায়ঃশ্চিত্তে র পরে। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.১.১৪) যদি তপস্যা শূদ্রদের জন্য নিষিদ্ধ হতো যেমনভাবে উত্তররামায়ণের নকল গল্প বলে, তাহলে প্রীষধ কিভাবে তা করল?

(ঙ) নবগ, রাজা নেদিস্থের পুত্র পরিণত হন বৈশ্যে। তার অনেক পুত্র হয়ে যান ক্ষত্রিয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.১.১৩)

(চ) ধৃষ্ট ছিলেন নবগের (বৈশ্য) পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন এবং তার পুত্র হন ক্ষত্রিয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.২.২)

(ছ) তার পরবর্তী প্রজন্মে কেউ কেউ আবার ব্রাহ্মণ হন। (বিষ্ণু পুরাণ ৯.২.২৩)

(জ) ভগবদ অনুসারে অগ্নিবেশ্য ব্রাহ্মণ হন যদিও তিনি জন্মনেন এক রাজার ঘরে।

(ঝ) রাথোটর জন্ম নেন ক্ষত্রিয় পরিবারে এবং পরে ব্রাহ্মণ হন বিষ্ণু পুরাণ ও ভগবদ অনুযায়ী।

(ঞ) হরিৎ ব্রাহ্মণ হন ক্ষত্রিয়ের ঘরে জন্ম নেয়াসত্ত্বেও। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৩.৫)

(ট) শৌনক ব্রাহ্মণ হন যদিও ক্ষত্রিয় পরিবারে জন্ম হয়। (বিষ্ণু পুরাণ ৪.৮.১) এমনকি বায়ু পুরাণ, বিষ্ণু পুরাণ ও হরিবংশ পুরাণ অনুযায়ী শৌনক ঋষির পুত্রেরা সকল বর্ণের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
একই ধরনের দৃষ্টান্ত পাওয়াযায় গ্রীতসমদ, বিতব্য ও বৃৎসমতির মধ্যে।

(ঠ) মাতঙ্গ ছিলেন চন্ডালের পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন।

(ড) রাবণ জন্মেছিলেন ঋষি পুলৎস্যের ঘরে কিন্তু পরে রাক্ষস হন।

(ঢ) প্রবৃদ্ধ ছিলেন রাজা রঘুর পুত্র কিন্তু পরে রাক্ষস হন।

(ণ) ত্রিশঙ্কু ছিলেন একজন রাজা যিনি পরে চন্ডাল হন।

(ত) বিশ্বামিত্রের পুত্রেরা শূদ্র হন। বিশ্বামিত্র নিজেছিলেন ক্ষত্রিয় যিনি পরে ব্রাহ্মণ হন।

(থ) বিদুর ছিলেন এক চাকরের পুত্র কিন্তু পরে ব্রাহ্মণ হন এবং হস্তিনাপুর রাজ্যের মন্ত্রী হন।

৯। "শূদ্র" শব্দটি বেদে দেখা গেছে প্রায় ২০ বারের মতো। কোথাও এটি অবমাননাকরভাবে ব্যবহৃত হয়নি। কোথাও বলা হয়নি শূদ্রেরা হলো অস্পর্শযোগ্য, জন্মগতভাবে এই অবস্থাণে, বেদ শিক্ষা হতেঅনুনোমোদিত, অন্যান্য বর্ণের তুলনায় নিম্ন অবস্থাণের, যজ্ঞে অনুনোমোদিত।

১০। বেদে বলা হয়েছে শূদ্র বলতেবোঝায় কঠিন পরিশ্রমী ব্যক্তি। (তপসে শূদ্রম্‌ - যজুর্বেদ ৩০.৫)
একারণেই পুরুষ সুক্ত এদের বলে পুরো মানব সমাজের কাঠামো।

এজন্যেই পবিত্র বেদ ঘোষনা করেছে সাম্যের বানী-

ঋগবেদ ৫.৬০.৫
অজ্যেষ্ঠাসো অকনিষ্ঠাস
এতে সং ভ্রাতারো তাবৃধুঃ সৌভগায়
যুবা পিতা স্বপা রুদ্র
এযাং সুদুঘা পুশ্নিঃ সুদিনা মরুদ্ভঃ ॥

বঙ্গানুবাদ :কর্ম ও গুনভেদেকেউ ব্রাহ্মন,কেউ ক্ষত্রিয়,কেউ বৈশ্য,কেউ শুদ্র।তাদের মধ্যে কেহ বড় নয় কেহ ছোট নয় ।ইহারা ভাই ভাই ।

সৌভাগ্য লাভের জন্য ইহারা প্রযত্ন করে ।ইহাদের পিতা তরুন শুভকর্ম ঈশ্বর এবং জননীরুপ প্রকৃতি ।
পুরুষার্থী সন্তানকেই সুদিন প্রদান করে । তাহলে দেখুন কি পাপটাই না করে চলেছি আমরা!

নিজ ধর্মকে নিজে সম্মান করুন তাহলে অন্যরাও সম্মান করবে

শুধু দুর্গাপূজার সময়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনা, ধর্ম যার যার উত্‍সব সবার, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হাবিজাবি কথা শুনি। ঈদে তো এগুলি শুনি না। অন্য ধর্মাবলম্বীদের উত্‍সবকে একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের উত্‍সব বলা হয়। আর ঈদ হল জাতীয় উত্‍সব। প্রকাশ্যে হিন্দুদের অপমান করা হয়। মুসলমানরা ইসলামকে নিয়ে একটা কটুক্তিও সহ্য করতে রাজি নয়। আর কিছু কিছু হিন্দু তো নিজ ধর্মের অপমান মুখ বুজে সহ্য করে। কিছু কিছু আধুনিক আধুনিকা নিজেদের নাস্তিক বলে পরিচয়ে দিয়ে ইমেজ বাড়ায়। এভাবে বেঁচে থেকে কি লাভ? প্রতিবাদী হওয়াও ধর্মের শিক্ষা। নিজ ধর্মকে নিজে সম্মান করুন তাহলে অন্যরাও সম্মান করবে।
 
কৃতজ্ঞতায়ঃ Pritilata Waddedar
 

নিমন্ত্রণ করেন হিন্দু হওয়ার

আপনাকে যদি কেউ 100 বার দাত্তয়াত দেয় ...... আর আপনি যদি থাকে একটিবারত্ত নিমন্ত্রণ না করেন ... তবে কি আপনার মান-সম্মান থাকবে ...? আপনার ব্যক্তিত্ব বলে কিছু থাকবে ...? আপনি তো একজন অকৃতজ্ঞ হয়ে যাবেন। আপনি তো ঋণি থাকবেন !! কাজেই আপনাকে অবশ্যই আপনার মান-সম্মান রক্ষা করতে হবে, ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে হবে। আপনি অবশ্যই তাকে নিমন্ত্রণ করবেন।

বি:দ্র: এমন কোন হিন্দু ছেলে-মেয়ে আছে বলে মনে হয় না .... যারা কমপক্ষে 100 বার ........... দাত্তয়াতের (ধর্মান্তরের) শিকার হয় নি। কাজেই আমাদেরকেত্ত নিমন্ত্রণ করতে শিখতে হবে, নিমন্ত্রণ করতে হবে। নতুবা আমার যে ঋণি থেকে যাব !!!!!!!!!
 
— with Pintù Dhar.   

শুধু বসে বসে মালা চাপলেই সনাতন ধর্মকে রক্ষা করা যাবে না

শুধু বসে বসে মালা চাপলেই সনাতন ধর্মকে রক্ষা করা যাবে না। বসে বসে মালা চাপার জায়গাত্ত তো (মন্দিরগুলো) অন্যরা বেদখল করে নিচ্ছে। কাজেই আমাদেরকে যে করেই হোক মান্দির গুলো রক্ষা করতে হবে। তাছাড়া সনাতন ধর্মের প্রধান ভিত্তি হল ... সনাতন ধর্মের অনুসারী সকল ভক্তবৃন্দ। দিন দিন আমাদের এ ভিত্তিত্ত দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন সবাই আমরা বিভিন্ন মত ত্ত পথে বিভক্ত হতে চলেছি। প্রতিদিন ব্যাঙ-এর ছাতার মত নতুন নতুন গুরু'র আবির্ভাব ঘটছে। সবাই আমাদেরকে বিভিন্ন গ্রুপ সাব-গ্রুপ-এ বিভক্ত করে চলেছেন। শিষ্যের দেয়া টাকা-পয়সা খেয়ে গুরুরা পেট মোটা করে খুব আরামেই দিন কাটাচ্ছেন। কিন্তু মন্দির রক্ষা, একতা, ধর্মান্তর প্রতিরোধ ..... এগুলোর জন্য কোন গুরু-ই কাজ করেন না। অথচ এক কাজগুলো তাদেরই করার কথা !! আরেকটি ভয়ংকর দিক হল .... অনেক গুরু আমাদের গীতা, বেদ ..... এগুলো প্রচার না করে নিজের তৈরি মনগড়া ছন্দ প্রচারে ব্যস্ত। এতে করে সনাতন ধর্মের বিকৃতি ঘটছে .... একতা নষ্ট হচ্ছে।

লাভ জিহাদ

( কাল্পনিক নাম ব্যবহার করা হয়েছে, বাস্তব অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে লেখা,   লাভ জিহাদীদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে হিন্দু মেয়ে পটানো )

১ম বর্ষের ১ম ক্লাস: প্রথম ক্লাসেই লাভ জিহদীরা ভাল করে খেয়াল ( ক্লাসে নাম ডাকার সময়) করে ক্লাসে কতগুলো হিন্দু মেয়ে আছে।

২য় ক্লাস: লাভ জিহাদী নিজ থেকেই হিন্দু মেয়েগুলোর সাথে পরিচিত হবে এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিবে ..... কারণে-অকারণে "হাই চাদনী" .... "হেই সোমা" ..... চলতেই থাকবে .... এভাবে কয়েক'মাস যাবে।

৪র্খ মাস: আস্তে আস্তে লাব জিহাদীদের সাথে বন্ধুত্ব অনেক গভীর হয়ে যাবে। হিন্দু মেয়েগুলো প্রথম থেকেই হিন্দু ছেলেগুলোকে এড়িয়ে চলবে... কি জানি যদি প্রেম হয়ে যায় !!! অপরদিকে ইতোমধ্যে লাভ জিহাদীদের সাথে মোবাইল নাম্বার বিনিময় হয়ে গেছে। শুরু হয়ে গেল রাত জেগে কথা বলা।

৮ম মাস: লাভ জিহাদী এটা খাত্তয়াবে .... ত্তটা খাত্তয়াবে ..... এখানে যেতে বলবে .... ত্তখানে যেতে বলবে ... .....বলবে চল কোথাত্ত ঘুরতে যাই ..... ( এভাবে প্রথম বর্ষ কেটে যাবে )

২য় বর্ষ: ইতো্মধ্যে মনের অজান্তেই মন-বিনিময় হয়ে গেছে। লাভ জিহাদী আস্তে আস্তে কাজী অফিসের দিকে যাতায়াত শুরু করবেন। অত:পর বিবাহ সম্পন্ন। নাম এফিডেভিট করে মোছা: জরিনা বেগম।

বিবাহ জীবন, ১ম কয়েক মাস: শুরু হবে ইসলামাইজেশন, অনুষ্ঠান করে গরুর মাংশ খাত্তয়ানো। ইত্যাদি ইত্যাদি ... আরত্ত অনেক কিছু।

আস্তে আস্তে শুরু হয় শারিরীক নির্যাতন .... যেৌতুকের জন্য চাপাচাপি ...... মালাউনের মেয়ে ... পরিবারের সবাই মিলে ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের গালাগাল.....

অপরদিকে, লাভ জিহাদী শুধু বলবে .... "মানিয়ে নাত্ত.... মানিয়ে নাত্ত" ... সব ঠিক হয়ে যাবে।

বিবাহীত জীবনের 2/3 বছর যাবার পর ডিভোর্স, কারণ ইতোমধ্যে দেহভোগ করা হয়ে গেছে। আর কি চাই ... !! ...?

উদাহরণ: শ্রাবন্তী দত্ত তিন্নিী ... আরত্ত অসংখ্য উদাহরণ পাবেন.. আপনার চারপাশে থাকান।
 
কৃতজ্ঞতায়ঃ  Pritilata Waddedar

রংপুরে আবার হিন্দু নির্যাতন

রংপুর-মিঠাপুকুরে ছড়ানে একটি হিন্দু পরিবার দখলের চেষ্টা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ লুটপাটের ঘটনায় গ্রেফতার ০২ আহত প্রায় ২০জনঃ
মিঠাপুকুরের ছড়ানে সন্ত্রাসীরা একটি হিন্দু বাড়ী দখলের চেষ্টা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ লুটপাট চালিয়েছে ঘটনায় প্রায় ২০জন নারী-পুরুশ আহত।
ঘটনাটি ঘটেছে (০৪/১১/২০১২খ্রিঃ) রবিবার সকাল অনুমানিক ৮.৩০ ঘটিকায় রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ১১নং বড়বালা ইউনিয়নের ছড়ান বাজার সংলগ্ন হিন্দু বসতীপাড়ায়। ছড়ান বাজার সংলগ্ন হিন্দু পাড়ায় বাবু হৃদয় চন্দ্র মহন্ত এবং আশ-পাশে ৪/৫টি পরিবার প্রায় ৪০ বছর ধরে বসবাস করে ব্যবসা বাণিজ্য করে আসছেন।
গত রবিবার হঠাৎ করে পূর্ব বড়বালা গ্রামের গোলাম মোস্তফা ও কামরুজ্জামানের নের্তৃত্বে ৪০/৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাবু হৃদয় মোহন্তের বাড়ী ও পাশের বাড়ী, দোকান, মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে নগদ টাকা ও মালামাল লুটপাট করে ।
এ সময় বাড়ীর নারী-পুরুষ ও প্রতিবেশীরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা ছোরা, লাঠি, দা, কুড়াল, বল্লম, হাসুয়া দিয়ে এলপাতাড়ী ভাবে বেধম মারপিট করে ৮ মহিলা সহ প্রায় ২০জনকে গুরুত্বর আহত করে। দিন দুপুরে সন্ত্রাসীদের তান্ডবে এলাকার লোকজন ভয়ে এগিয়ে আসতে পারেন নি।
ঘটনা স্থলে ২ সন্ত্রাসী গোলাম মোস্তফা ও কামরুজ্জামান গ্রেফতার হয়। অত্র এলাকায় জানাযায় যে উক্ত সন্ত্রাসীরা পূর্ব থেকে ডাকাতি পেশায় সম্পৃক্ত ।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, রংপুর জেলা শাখার আহবায়ক, বাবু লক্ষন চন্দ্র বর্মন সহ নেতৃবন্দ ঘটনা স্থল পরিদর্শন এবং আহত ব্যক্তিদের মিঠাপুকুর হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন ।
 ক্রিতজ্ঞতায়ঃ Hinduveer

মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১২

"যশোরেশ্বরী " পূজা স্মরণিকা এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান



সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, এম এম কলেজ, যশোর শাখা শুভ মহালয়া ১৪১৯ উদযাপন করে ১৫ অক্টোবর ২০১২ বিকাল ৩ টায়

"যশোরেশ্বরী " পূজা স্মরণিকা এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান


প্রদীপ প্রজ্বলন


সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, এম এম কলেজ, যশোর শাখা শুভ মহালয়া ১৪১৯ উদযাপন করে ১৫ অক্টোবর ২০১২ বিকাল ৩ টায়

বিগত আত্মা গনের জন্য প্রদীপ প্রজ্বলন করেন উপস্তিত সকলে


এই বছর পূজা অনুষ্ঠিত হবে প্রায় ২৮০০০ এর অধিক মণ্ডপে

মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ এর তথ্য মতে, “এই বছর বাংলাদেশে গত বছরের তুলনায় এক হাজারের মত বেশি মণ্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

গত বছর বাংলাদেশে মোট ২৭৩৪৫টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হয়েছে আর এই বছর পূজা অনুষ্ঠিত হবে প্রায় ২৮০০০ এর অধিক মণ্ডপে। ঢাকাতে ২০২ টি মন্ডপে পূজো অনুষ্ঠিত হবে যা গতবার থেকে ১০ টি বেশী ।
 
 

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ধ্বংস চলছেই, এবার লালবাগের মন্দির

ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ধ্বংস চলছেই, এবার লালবাগের মন্দির






রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী পুরোনো ভবনগুলো ভেঙে ফেলার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নগর সংরক্ষণ কমিটি ২০০৯ সালে ঢাকার সংরক্ষণযোগ্য ঐতিহ্যবাহী ভবনের যে তালিকা করেছিল, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা না পাওয়া এর একটি বড় কারণ। ঐতিহ্যবাহী ভবন ধ্বংসের সর্বশেষ শিকার হয়েছে লালবাগের শেখ সাহেব বাজারের দৃষ্টিনন্দন মন্দিরটি।

পুরান ঢাকার কোনো কোনো মহল্লার প্রায় সব কটি ঐতিহ্যবাহী ভবন ইতিমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য ইতিহাসপ্রেমী ও বিশেষজ্ঞদের তাগিদ এবং ক্ষেত্রবিশেষে সরকারি প্রচেষ্টা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সময়ে নির্বিচারে পুরোনো স্থাপত্য ভাঙার হার বেড়েছে বলেই অনেকে মনে করেন।
পুরান ঢাকার বেশির ভাগ এলাকায় এখন ঐতিহ্যবাহী ভবনের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। সম্প্রতি উত্তর মৈশুন্ডি এলাকায় গিয়ে কোনো পুরোনো ভবন পাওয়া যায়নি। সেখানে শত বছরের পুরোনো অন্তত ১০টি ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতের বেলায় এসব ভবন ভাঙা হয়। সেখানে বহুতল ভবন হবে বলে তাঁরা শুনেছেন।
ওয়ারী থানার গোলক পাল লেনে রাস্তার পাশের কয়েকটি পুরোনো ভবন ভেঙে নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে। লালবাগের আমলীগোলায় জগন্নাথ সাহার ঐতিহ্যবাহী বাড়িটি ভেঙে বসানো হয়েছে গভীর নলকূপ। মোগল আমলে নির্মিত ঐতিহাসিক স্থাপনা ছোট কাটরা ও বড় কাটরার অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। বিধি অনুযায়ী, সংরক্ষিত এসব স্থাপনার চারদিক ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও চারপাশে বড় বড় ভবন তোলা হচ্ছে।
প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত নগর সংরক্ষণ কমিটি ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঐতিহ্যবাহী ভবনের যে তালিকা করেছিল, তার ধারাবাহিকতা রক্ষা না পাওয়ায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এ কমিটির সভাও অনেক দিন ধরে হয় না। ২০০৯ সালে এ বিষয়ে প্রকাশিত গেজেটে পুরান ও নতুন ঢাকার ৯৩টি ভবন ছাড়াও চারটি অঞ্চল ও এর ১৩টি রাস্তাকে সম্পূর্ণ সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছিল। কথা ছিল, ওই তালিকায় অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা এবং এলাকা যুক্ত করা হবে। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি। তা ছাড়া অর্পিত সম্পত্তি আইনের কয়েকটি ‘দুর্বলতার’ সুযোগেও অনেক ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) শেখ আবদুল মান্নান জানান, কিছু ভবনকে নোটিশ করা হয়েছে। কয়েকটি ভবনের মালিক ও ভাঙার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
সংরক্ষিত ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এ বছরের শুরুর দিকে সরকারি-বেসরকারি পাঁচজন প্রতিনিধির একটি উপকমিটি করা হয়। এ উপকমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, রাজউক স্থাপনা ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া কমিটি একটি নীতিমালা তৈরি করছে, যাতে মূল কাঠামো ঠিক রেখে পুরোনো ভবনগুলো সংস্কার করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।
সর্বশেষ শিকার: পুরান ঢাকার সংরক্ষিত তালিকাভুক্ত ৩৩ প্যারীদাস রোডের বাড়ি, সংরক্ষিত এলাকা ২৮ উৎসব পোদ্দার লেনের দোতলা বাড়ি, টিপু সুলতান রোডের শঙ্খনিধি ভবনের একটি মন্দির, আলাউদ্দিন রোড ও ডালপট্টির একাধিক বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ প্রবণতার সর্বশেষ শিকার হয়েছে লালবাগের শেখ সাহেব বাজারে অবস্থিত জমিদার কেদারনাথ শীলের বাসভবনসংলগ্ন শৈলীময় স্থাপত্যের মন্দিরটি। ২৫৫ ও ২৫৬ নম্বর হোল্ডিংয়ে অবস্থিত স্থাপনাটি সপ্তাহ খানেক ধরে ভাঙা হচ্ছে। মন্দিরটি অনেক দিন ধরে কারখানা ও গুদামঘর হিসেবে ব্যবহূত হয়ে আসছিল।
স্থানীয় লোকজন জানান, মন্দিরের একাংশের বর্তমান ভোগদখলকারী মৃধা অ্যান্ড কোম্পানি কিছু দিন আগে ভবনটির ছাদ ভাঙার জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করে। ছাদটি দ্রুত ভেঙেও ফেলা হয়। 
মৃধা অ্যান্ড কোম্পানির একজন অংশীদার মাহমুদ আলী মৃধা বলেন, মন্দিরটি তাঁরা ভাঙেননি। দুই মাস আগের ঝড়-বৃষ্টিতে তা ভেঙে গেছে। তবে গত সোমবার সেখানে নিয়োজিত শ্রমিক ও আশপাশের বাসিন্দারা বলেন, মন্দিরের ছাদ আয়োজন করেই ভাঙা হয়েছে।
মন্দিরের মূল অংশটির সামনের দিকে রয়েছে কারুকার্যমণ্ডিত পাঁচটি অর্ধবৃত্তাকার খিলান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই দুটি হোল্ডিং নম্বরের মালিক কেদারনাথ শীল ও তাঁর ভাই পরিতোষ শীল ১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ভারতে চলে যান। পরে বিভিন্ন সময় বিহারিসহ কয়েকজনের কাছে ওই সম্পত্তি লিজ দেওয়া হয়। এভাবে সম্পত্তির একাংশ মৃধা অ্যান্ড কোম্পানির হাতে আসে।
নগর সমন্বয় কমিটির সদস্য এবং ‘আরবান স্টাডি গ্রুপ’ নামের একটি সংরক্ষণকামী সংগঠনের প্রধান নির্বাহী স্থপতি তাইমুর ইসলাম ঘটনাস্থল ঘুরে প্রথম আলোকে জানান, প্রায় ১০০ বছরের পুরোনো স্থাপনাটি ধ্রুপদি স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের স্থাপনা ধ্বংস করা শুধু দুঃখজনকই নয়, আমাদের জন্য চরম অগৌরবজনক।’
স্থাপত্য ইনস্টিটিউটের সভাপতি মোবাশ্বের হোসেন শুক্রবার এ বিষয়ে বলেন, সংরক্ষিত বা ঐতিহ্যবাহী ভবনগুলো রক্ষার সব প্রচেষ্টাই প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কথা ছিল রাজউক এ ধরনের ভবনের তালিকা করবে। সিটি করপোরেশন এ ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এখন তো সিটি করপোরেশনের কোনো মা-বাপ নেই।