বৃহস্পতিবার, ১১ অক্টোবর, ২০১২

আমরা কেন মূর্তি পূজা করি?

বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরা মূর্তি বা বিগ্রহকে পূজা করলে ও প্রকৃতপক্ষে আমরা ভগবানের পূজা করি। বড় কিছু বুঝানোর জন্য তথা অদৃশ্য এবং অব্যক্ত সৃষ্টিকর্তাকে কল্পনার জন্য প্রতীক বা মূর্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রতীকের মাধ্যমে আমাদের আসল শক্তির কথা মনে পড়ে এবং তখনই আমরা ভগবানকে স্মরণ করি।

আগে একটি কাহিনী শুনুন , রামানুজাচার্যের বেদান্ত ব্যাখা শুনে আকৃষ্ট হয়ে একজন শিষ্যত্ব গ্রহন করে , শিষ্য বেদান্ত বিশ্বাসী, ভগবানের মূর্তিতে তার আস্থা ছিল না । গুরু যে বিগ্রহের পূজা করতেন তা খুব ভালো চোখে নিতে পারতেন না । তার ধারনা মূর্তি পূজা নিম্ন অধিকারীর জন্য । রামানুজ তার মনোভাব বুঝেও কিছু বলতেন না । একদিন আশ্রমে আগুন নাই। শিষ্যটিকে বললেন একটু আগুন নিয়ে আসতে। শিষ্য জলন্ত উনুন হতে কিছু কাঠ নিয়ে এলেন। গুরু বললেন-পোড়া কাঠ আনতে বলিনি। আগুন চাই। শিষ্য বুঝে উঠতে পারছেন না , কাঠ ছাড়া কিভাবে আগুন নিয়ে আসবেন।রামানুজ তখন বললেন, সামান্য আগুন আনতে অবলম্বন দরকার হচ্ছে।আর যিনি বিশ্বেশ্বর , তাকে কিনা পাওয়া যাবে বিনা অবলম্বনে? এ বিগ্রহই সে অবলম্বন, ভক্তিযুক্
ত চিত্তে সেবা পূজা করলে তিনি এর মধ্যে আর্বিভূত হবেন ।তখন এ বিগ্রহই অর্চাবতার ।

সনাতন ধর্মে নিরাকার উচ্চ স্তরের উপাসনা যা এই কলিযুগে প্রায় অসম্ভব ।কলিযুগে সাধারন মনোনিবেশ তথা চিত্তকে বিষয় বাসনা থেকে সরিয়ে একাগ্রচিত্তে ভগবানকে স্মরণ করার জন্য মূর্তি একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি ।

গীতার নবম অধ্যায়ে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন যে, অব্যক্ত উপাসনা দেহাভিমানী জীবের পক্ষে সম্ভবপর নয় বলে ব্যক্ত।

তাই মূর্তি পূজা বা বিগ্রহ পূজার মাধ্যমে অব্যক্ত উপাসনা করা সম্ভব ।

সর্বশেষ কথা, আমাদের আদিধর্ম গ্রন্থ বেদে নিরাকার উপাসনার কথা বলা হয়েছে । কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কলিযুগের জীবদের উদ্দেশ্য শ্রীমদ্ভাগবদ্‌গীতায় বলেছেন যে , দেহভিমানী জীবের পক্ষে নিরাকার উপাসনা সম্ভব নয় । তাই আমরা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে ভগবানের আরাধনা করি ।
বাহ্যিক দৃষ্টিতে আমরা মূর্তি বা বিগ্রহকে পূজা করলে ও প্রকৃতপক্ষে আমরা ভগবানের পূজা করি। বড় কিছু বুঝানোর জন্য তথা অদৃশ্য এবং অব্যক্ত সৃষ্টিকর্তাকে কল্পনার জন্য প্রতীক বা মূর্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এই প্রতীকের মাধ্যমে আমাদের আসল শক্তির কথা মনে পড়ে এবং তখনই আমরা ভগবানকে স্মরণ করি।

আগে একটি কাহিনী শুনুন , রামানুজাচার্যের বেদান্ত ব্যাখা শুনে আকৃষ্ট হয়ে একজন শিষ্যত্ব গ্রহন করে , শিষ্য বেদান্ত বিশ্বাসী, ভগবানের মূর্তিতে তার আস্থা ছিল না । গুরু যে বিগ্রহের পূজা করতেন তা খুব ভালো চোখে নিতে পারতেন না । তার ধারনা মূর্তি পূজা নিম্ন অধিকারীর জন্য । রামানুজ তার মনোভাব বুঝেও কিছু বলতেন না । একদিন আশ্রমে আগুন নাই। শিষ্যটিকে বললেন একটু আগুন নিয়ে আসতে। শিষ্য জলন্ত উনুন হতে কিছু কাঠ নিয়ে এলেন। গুরু বললেন-পোড়া কাঠ আনতে বলিনি। আগুন চাই। শিষ্য বুঝে উঠতে পারছেন না , কাঠ ছাড়া কিভাবে আগুন নিয়ে আসবেন।রামানুজ তখন বললেন, সামান্য আগুন আনতে অবলম্বন দরকার হচ্ছে।আর যিনি বিশ্বেশ্বর , তাকে কিনা পাওয়া যাবে বিনা অবলম্বনে? এ বিগ্রহই সে অবলম্বন, ভক্তিযুক্
ত চিত্তে সেবা পূজা করলে তিনি এর মধ্যে আর্বিভূত হবেন ।তখন এ বিগ্রহই অর্চাবতার ।

সনাতন ধর্মে নিরাকার উচ্চ স্তরের উপাসনা যা এই কলিযুগে প্রায় অসম্ভব ।কলিযুগে সাধারন মনোনিবেশ তথা চিত্তকে বিষয় বাসনা থেকে সরিয়ে একাগ্রচিত্তে ভগবানকে স্মরণ করার জন্য মূর্তি একটি বিজ্ঞান সম্মত পদ্ধতি ।

গীতার নবম অধ্যায়ে স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন যে, অব্যক্ত উপাসনা দেহাভিমানী জীবের পক্ষে সম্ভবপর নয় বলে ব্যক্ত।

তাই মূর্তি পূজা বা বিগ্রহ পূজার মাধ্যমে অব্যক্ত উপাসনা করা সম্ভব ।

সর্বশেষ কথা, আমাদের আদিধর্ম গ্রন্থ বেদে নিরাকার উপাসনার কথা বলা হয়েছে । কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কলিযুগের জীবদের উদ্দেশ্য শ্রীমদ্ভাগবদ্‌গীতায় বলেছেন যে , দেহভিমানী জীবের পক্ষে নিরাকার উপাসনা সম্ভব নয় । তাই আমরা বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে ভগবানের আরাধনা করি ।
 

২টি মন্তব্য:

  1. কাহিনী তে আগুনের উদাহরনটি খুব বাস্তবসম্মত এবং সুন্দর। ধন্যবাদ এরূপ একটি লেখনীর জন্য।

    উত্তরমুছুন
  2. কোন মানুষ যদি অজ্ঞানতা বশতঃ চুনের জলে দুধের ভাবনা আরোপ করে তাকে মন্থন করে,তাহলে তা থেকে সে মাখণ পাবে কি ? আবার জলে অগ্নির ভাবনা করে শীতার্ত ব্যক্তি কি শীত দূর করতে পারবে ? আসল কথা হলো, যা যেটা নয়, তাকে সেটা ভেবে ক্ষতি ছাড়া লাভ নেই। আরো যদি বলা যায় যে, তিলে তৈল আছে, এখন কেউ যত শ্রদ্ধ্যা ভরেই তিলকে দর্শন করুক না কেন সে তিলই দেখবে, তৈল নয় । ঈশ্বর মুর্তিতে ব্যাপক আছেন এটা সত্য, কিন্তু দর্শক মুর্তিকে দর্শন করে মাত্র, ঈশ্বরকে নয়। পুজার উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে জীবাত্মা ও পরমাত্মা উভয়ই বর্তমান, তাই সেখানেই উভয়ের মিলন সম্ভব। মুর্তিতে পরমাত্মা বর্তমান কিন্ত জীবাত্মা নয়, তাই সেখানে মিলন অসম্ভব।

    উত্তরমুছুন