শুক্রবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

হিন্দু পারিবারিক আইন পরিবর্তনের সুপারিশে আইন কমিশন ও এনজিওগুলো ভারতের হিন্দু আইন সংস্কারের দৃষ্টান্ত দিয়েছে

হিন্দু পারিবারিক আইন পরিবর্তনের সুপারিশে আইন কমিশন ও এনজিওগুলো ভারতের হিন্দু আইন সংস্কারের দৃষ্টান্ত দিয়েছে। একথা ভুললে চলবে না যে ভারতে হিন্দুরা সংখ্যাগুরু, এদেশে সংখ্যালঘু।

ভারতই যদি তাদের কাছে মডেল হয়ে থাকে তাহলে ভারতে Ministry of Minority Affairs রয়েছে বাংলাদেশে আগে তা হোক। এই মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভারতে National Minorities Development and Finance Corporation (NMDFC) নামে সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে তা আগে করা হোক। ভারতে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, সংসদের স্পিকার, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারে প্রচুর সখ্যক সংখ্যালঘু পূর্ণ মন্ত্রী রয়েছে। বাংলাদেশে কখনো কি তা আমরা আশা করতে পারি? নিজ যোগ্যতা বলে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি হওয়ার কথা ছিল ফণীভূষণ চৌধুরী মহোদয়ের। তাকে সরানোর জন্য রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা করে তাকে সরিয়ে দেয়া হলো। এটাই বাংলাদেশ। ভারতে সংখ্যালঘুদের জন্য হাজারো প্রকল্প ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় যার তুলনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা বৈষম্য-নির্যাতন ছাড়া আর কিছু পায় না।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হিন্দুদের বহুদিনের দাবি, বিভিন্ন

মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সচিব বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে আশ্বস্তও করেছেন। কিন্তু বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না।

আগে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সভ্য নাগরিক হিসেবে সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হোক। তাদের উন্নয়নে উপরোক্ত পদক্ষেপ নেয়া হোক। পারিবারিক আইন সংস্কার আমাদের দাবি নয়। এই মুহূর্তে হিন্দু আইন সংস্কার সচেতন হিন্দু সমাজ মেনে নেবে না।

বাংলাদেশ থেকে ১০ বছরে ৯ লাখ হিন্দু কমেছে



২০০১ ও ২০১১ সালের শুমারির জেলাভিত্তিক তথ্য পাশাপাশি রাখলে দেখা যায়, ১৫টি জেলায় হিন্দু জনসংখ্যা কমে গেছে। বিবিএসের কর্মকর্তারা বলেছেন, এসব জেলার হিন্দুরা দেশের অন্য কোনো জেলায় চলে গেছে, পরিসংখ্যান তা বলছে না। অর্থাৎ, অন্য জেলায়ও হিন্দু জনসংখ্যা বাড়েনি। কর্মকর্তারা এদের বলছেন, ‘মিসিং পপুলেশন’ বা ‘হারিয়ে যাওয়া মানুষ’।

স্বাধীনতার আগের দুটি ও পরের পাঁচটি শুমারির তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোট জনসংখ্যার তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ও হার কমেছে। মুসলমানদের সংখ্যা ও হার সব সময়ই বেড়েছে। বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীর হার মোটামুটি একই ছিল বা আছে।

কেন কমছে: একাধিক শুমারির প্রতিবেদনে হিন্দু জনগোষ্ঠীর মধ্যে মোট প্রজনন হার (টোটাল ফার্টিলিটি রেট—টিএফআর) তুলনামূলকভাবে কম বলে দাবি করা হয়েছে।

প্রবীণ রাজনীতিক ও গণঐক কমিটির আহ্বায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রদায়িক আবহ তৈরি করে সম্প্রীতি নষ্ট করায় এমনটা ঘটছে। জামায়াতের মতো শক্তিগুলো পরিকল্পিত ও নিয়মিতভাবে নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। সাম্প্রতিককালে চট্টগ্রামের হাটহাজারী, সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ, কুড়িগ্রামের চিরিরবন্দরে ধর্মীয় জিগির তুলে মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা লক্ষ করা গেছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের পাশে কেউ দাঁড়াচ্ছে না, তাদের আশ্বস্ত করছে না। নীরবে তাই দেশত্যাগ হচ্ছেই।

‘বুক বেঁধে দাঁড়াবার সংস্কৃতি কমে গেছে’—এমন মন্তব্য করেছেন ড. আনিসুজ্জামান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ইমেরিটাস অধ্যাপক বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার অভাববোধ বাস্তব ও অনুমিত। সম্পত্তি দখলের উদ্দেশ্যে কিছু লোক নানা ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু নেতা বা রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে স্থানীয় পর্যায়ে সেই প্রতিশ্রুতি পালিত হয় না, কর্মী পাওয়া যায় না।

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

হিন্দু দেশ হিসাবে নেপাল সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার।

নেপাল হিমালয় অধ্যুষিত একটি দক্ষিণ এশিয় দেশ যার সাথে উত্তরে চীন এবং দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারতের সীমান্ত রয়েছে। এর শতকরা ৮০ ভাগ জনগণই হিন্দু ধর্মের অনুসারী। বেশ ছোট আয়তনের একটি দেশ হওয়া সত্ত্বেও নেপালের ভূমিরুপ অত্যন্ত বিচিত্র। আর্দ্র আবহাওয়া বিশিষ্ট অঞ্চল, তরাই থেকে শুরু করে সুবিশাল হিমালয়; সর্বত্রই এই বৈচিত্রের পরিচয় পাওয়া যায়। নেপাল এবং চীনের সীমান্ত জুড়ে যে অঞ্চল সেখানে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০ টি পর্বতের ৮ টি ই অবস্থিত। এখানেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট অবস্থিত।

ইতিহাস 

নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডুর উপত্যকায় প্রাপ্ত নিওলিথিক যুগের বেশকিছু উপাদান এটিই নির্দেশ করে যে হিমালয়ান অঞ্চলে প্রায় ৯০০০ বছর থেকে মানুষ বসবাস করছে। এটি প্রতিষ্ঠিত যে প্রায় ২৫০০ বছর পূর্বে নেপালে তিব্বতী-বার্মীয় জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। ১৫০০ খৃস্টপূর্বাব্দে ইন্দো ইরানীয় বা অ্যারিয়ান জাতিগোষ্ঠী এই হিমালয়ান উপত্যকায় প্রবেশ করে। ১০০০ খৃস্টপূর্বাব্দের দিকে এই অঞ্চলটিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর জন্য স্বতন্ত্র রাজ্য ও কনফেডারেশন গড়ে উঠে। এরকমই একটি কনফেডারেশন ছিল সাকিয়া যার একসময়কার রাজা ছিলেন সিদ্ধার্থ গৌতম (৫৬৩-৪৮৩ খৃস্টাপূর্বাব্দ) যিনি গৌতম বুদ্ধ বা শুধু বুদ্ধ নামেই পরিচিত। তিনি পবিত্র ও সাধনাময় জীবনযাপনের জন্য তার রাজত্ব ত্যাগ করেছিলেন। ২৫০ খৃস্টপূর্বাব্দে এই অঞ্চলটি উত্তর ভারতের মৌর্য সম্রাজ্যের (Mauryan) অধীনে আসে এবং পরবর্তীতে ৪র্থ শতাব্দীতে এটি গুপ্ত সম্রাজ্যের অধীনে একটি পুতুল রাষ্ট্রে পরিণত হয়। পঞ্চম শতাব্দীর শেষ হতে শুরু কেরে পরবর্তী বেশ কিছুটা সময় শাসন করে একদল শাসক যারা সাধারণভাবে লিকচাভিস (Licchavis) নামে পরিচিত। লিকচাভি সম্রাজ্যের (Licchavi) পতন ঘটে অষ্টম শতাব্দীতে এবং এরই সাথে শুরু হয় নেওয়ারি (Newari) যুগের। ৮৭৯ সালে নেওয়ারিদের রাজত্ব শুরু হলেও সমগ্র রাষ্ট্রের উপর তাদের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই অনিশ্চিত ছিল। একাদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে নেপালের দক্ষিণাংশ দক্ষিণ ভারতের চালুকাইয়া সম্রাজ্যের (Chalukaya) অধীনে আসে। চালুকাইয়াদের রাজত্বকালে নেপালের ধর্মে ব্যাপক পরিবর্তন আসে কারণ কারণ সব রাজাই হিন্দু ধর্মের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন এবং বৌদ্ধ ধর্মের প্রসারের বিপরীতে হিন্দু ধর্মের প্রচারে অবদান রাখেন।
দ্বাদশ শতাব্দীতে যেসব রাজা অধীষ্ঠান করেন তাদের নামের শেষে সাধারণ একটি শব্দ ছিল আর তা হল মল্ল যার অর্থ হচ্ছে কুস্তীগীর

রাজনীতি ও প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

বর্তমানে নেপালের রাজনীতি একটি বহুদলীয় প্রজাতন্ত্রের কাঠামোতে সংঘটিত হয়। প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত। আইনসভার উপর আইন প্রণয়নের দায়িত্ব ন্যস্ত। বর্তমানে রাম বরণ যাদব নেপালের রাষ্ট্রপতি এবং মাধব কুমার নেপাল প্রধানমন্ত্রী।
২০০৮ সালের মে মাস পর্যন্ত নেপাল একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ছিল। ঐ মাসের ২৮ তারিখে নেপালের আইনসভা সংবিধানে সংশোধন আনে এবং নেপালকে একটি প্রজাতন্ত্রে রূপান্তরিত করে।

 


জনসংখ্যা

জনসংখ্যার পরিসংখ্যান
শ্রেনী সংখ্যা
মোট জনসংখ্যা ২৮,৬৭৬,৫৪৭ (২০০৫)
বৃদ্ধি হার ২.২%
বয়সসীমা ১৪ বছরের নীচে ৩৯%
বয়সসীমা ১৫ থেকে ৬৪ এর মধ্যে ৫৭.৩%
বয়সসীমা ৬৫ এর উপরে ৩.৭%
গড় বয়স ২০.০৭
গড় বয়স (পুরুষ) ১৯.৯১
গড় বয়স (মহিলা) ২০.২৪
অনুপাত (পুরুষ:মহিলা) ১,০০০:১,০৬০
অনুমিত অয়ুষ্কাল(গড়) ৫৯.৮ বছর
অনুমিত অয়ুষ্কাল (পুরুষ) ৬০.৯
অনুমিত অয়ুষ্কাল (মহিলা) ৫৯.৫
স্বাক্ষরতার হার (গড়) ৫৩.৭৪%
স্বাক্ষরতার হার (পুরুষ) ৬৮.৫১%
স্বাক্ষরতার হার (মহিলা) ৪২.৪৯%
সাম্প্রতিক সময়ে প্রচুর লোক দক্ষিণের সমতল ভূমি অর্থাৎ তরাই-এ বসবাস শুরু করলেও এখনো দেশের সিংহভাগ মানুষ বাস করে মধ্য উচ্চভূমিতে। উত্তরের পার্বত্য অঞ্চল জনবিরল। রাজধানী কাঠমুন্ডু দেশের সবচেয়ে বড় শহর এবং এর জনসংখ্যা প্রায় ৮০০,০০০(মেট্রোপলিটন এলাকায়: ১৫ লক্ষ)।
নেপালি ভাষা নেপালের সরকারী ভাষা। এখানকার প্রায় ৬০% লোক নেপালি ভাষাতে কথা বলেন। এছাড়াও নেপালে আরও প্রায় ১২০টি ভাষা প্রচলিত। এদের মধ্যে মৈথিলী ভাষা (প্রায় ১১% বক্তা), ভোজপুরি ভাষা (প্রায় ৮%), মুর্মি ভাষা, নেওয়ারি ভাষা, এবং মগর ভাষা উল্লেখযোগ্য। আন্তর্জাতিক কর্মকাণ্ডে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করা হয়।

সংস্কৃতি

নেপালের সংস্কৃতি হিন্দূ এবম বৌদ্ধ সংস্কতি মিশ্রণ হৈছে| নেপালের প্রধান পর্ব বিজযা দশলী, বুদ্ধ জযন্তী, তিহার, ল্হোসার আদি| নেপালের রাষ্হ্ট্র পোশাক দৌরা সুরুৱাল (পুরুষ্হ) এবম সারী (মহিলা)|
নেপালের সংস্কৃতি অনেকগুলো দেশীয়, আদিবাসী গোষ্ঠীর সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে, ফলে নেপাল এক বহুসাংস্কৃতিক রাষ্ট্র। নেপালের সংস্কৃতি বেশ সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্রপূর্ন, বিশেষকরে নেওয়ার জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি। নেওয়ার জনগোষ্ঠী অনেকগুলো পার্বণ পালন করে এবং তারা তাদের গান ও নাচের জন্য সুপরিচিত।
নেপালের সাধারণ খাদ্যতালিকা- ডাল-ভাত-তরকারী, এর সাথে থাকে আচার বা চাটনী। নিচু সমতল ভূমিতে ঘরের কাঠামো তৈরির প্রধান উপকরন বাঁশ, গোবর মিশ্রিত কাদা দিয়ে ঘরের দেয়াল তৈরি করা হয়। এধরনের ঘর শীতের দিনে বেশ গরম এবং গরমের দিনে বেশ ঠান্ডা থাকে।
নেপালী বৎসর ১২ মাসে বিভক্ত এবং বছরের শুরু হয় মধ্য এপ্রিলে। নেপালে সাপ্তহিক ছুটির দিন হচ্ছে শনিবার।
নেওয়ারী সঙ্গীতে ঐকতান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়, অধিকাংশই বাজাতে হয় ঘষে ঘষে, তবে বাঁশি ও বাঁশিজাতীয় আরো কিছু বাদ্যযন্ত্র রয়েছে। তারযুক্ত বাদ্যযন্ত্র খুব কম ব্যবহৃত হয়। সঙ্গীত রয়েছে বিভিন্ন ব্যঞ্জনার, যা ভিন্ন ভিন্ন ঋতু এবং উৎসবকে মূর্ত করে তোলে। যেমন, পাহান চারে সঙ্গীত পরিবেশিত হয় অত্যন্ত দ্রুত লয়ে এবং ডাপা সঙ্গীত পরিবেশিত হয় খুব ধীর লয়ে। কিছু বাদ্যযন্ত্র আছে যেগুলো শুধুমাত্র যন্ত্রসঙ্গীতেই ব্যবহৃত হয়, যেমন- ধিমাইভুসিয়াধিমাই বাজে সবচেয়ে উচ্চগ্রামে। পাহারগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন জনগোষ্ঠীর নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে, লোকগীত বা লোক দোহারী অত্যন্ত জনপ্রিয়। লোকগাঁথা নেপালী সমাজ ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে আছে। চিরায়ত লোকগল্পগুলোর মূলে রয়েছে দৈনন্দিন বাস্তবতা, প্রেম-ভালবাসা, যুদ্ধ-বিগ্রহ, দানব, দেবতা যার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায় প্রচলিত বিশ্বাস ও সংস্কৃতি। অনেক নেপালী লোককাহিনী গান ও নাচ সহযোগে পরিবেশিত হয়।

গণমাধ্যম

নেপাল থেকে প্রকাশিত কয়েকটি পত্রিকার নামঃ কান্তিপুর ন্যাশনাল ডেইলি নেপাল সমাচারপত্র হিমালয়ান টাইমস কাঠমন্ডু পোস্ট রাজধানী ডেইলী বুধবার সাপ্তাহিক জন আস্থা সপ্তাহিক

 

বাংলাদেশী হিন্দু বিশিষ্ট ব্যা্ক্তিত্ব ।

সামরিক বাহিনী

লেফটানেন্ট কর্নেল ও তদুর্ধ্ব

খেলাধূলা

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বাংলাদেশী হিন্দু বিশিষ্ট ব্যা্ক্তিত্ব ।

রাজনীতিবিদ

  • সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত(সাংসদ,আওয়ামী লীগ)
  • নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (সাংসদ, আওয়ামী লীগ)
  • সুধাংশু শেখর হালদার (প্রয়াত) (আওয়ামী লীগ)
  • সতীশ চন্দ্র রায় (প্রাক্তন সাংসদ, আওয়ামী লীগ)
  • পঞ্চানন বিশ্বাস (প্রাক্তন সাংসদ, আওয়ামী লীগ)
  • গয়েশ্বর চন্দ্র রায় (বিএনপি)
  • গৌতম চক্রবর্তী (বিএনপি)
  • গৌতম কুমার মিত্র (বিএনপি)
  • নিতাই রায় (বিএনপি, পূর্বে জাতীয় পার্টি)
  • মনোরঞ্জন শীল গোপাল (জাতীয় পার্টি)
  • বিমল বিশ্বাস (ওয়ার্কার্স পার্টি)
  • পঙ্কজ নাথ (আওয়ামী লীগ)
  • সুজিত রায়নন্দী (আওয়ামী লীগ)
  • ননী গোপাল মণ্ডল (সাংসদ , আওয়ামী লীগ)
  • বীরেন শিকদার (সাংসদ , আওয়ামী লীগ)
  • মুকুল বসু (আওয়ামী লীগ, প্রাক্তন সচিব)
  • অসীম কুমার উকিল (আওয়ামী লীগ)
  • নেপাল কৃষ্ণ দাস (বিকল্প ধারা, পূর্বে হিন্দু লীগ)
  • রঞ্জিত কুমার ঘোষ (সাংসদ , আওয়ামী লীগ)
  • ধীরেন্দ্র নাথ সাহা (বিএনপি, পূর্বে আওয়ামী লীগ)

প্রতিদিন  হিন্দু ধর্ম  সম্পর্কে নানা বিষয়  জনার জন্য এই  সাইটে চোখ রাখুন।

 

দুর্গাপূজা শুরু থেকে বর্তমান

দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব হিন্দু দেবী দুর্গার আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হওয়া বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের বৃহত্তম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব। শাস্ত্রীয় বিধানে আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষে এবং চৈত্রমাসের শুক্লপক্ষে দুর্গোৎসব পালন করা যায়। চৈত্র অর্থাৎ বসন্তকালের দুর্গাপূজা বাসন্তী দুর্গাপূজা ও আশ্বিন অর্থাৎ শরৎকালের দুর্গাপূজা শারদীয়া দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। বাংলায় শারদীয়া দুর্গাপূজা অধিক জনপ্রিয়। যদিও অনেক পরিবারে বাসন্তী দুর্গোৎসব পালনের প্রথাও বর্তমান।
দুর্গাপূজা ভারতীয় উপমহাদেশের অন্তর্গত একাধিক রাষ্ট্রে পালিত হয়ে থাকলেও, এটি বিশেষ করে বাঙালিদের উৎসব হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকে। পশ্চিমবঙ্গত্রিপুরায় এই উৎসবের জাঁকজমক সর্বাধিক। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ও বিশেষ উৎসাহে এই উৎসব পালন করে থাকেন। এমনকি অসমওড়িশাতেও দুর্গাপূজা মহাসমারোহে পালিত হয়ে থাকে। বর্তমানকালে পাশ্চাত্য, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যেসব দেশগুলিতে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা কর্মসূত্রে অবস্থান করেন, সেখানেও মহাসমারোহে দুর্গোৎসব আয়োজিত হয়ে থাকে। এই কারণে সারা বিশ্বের কাছেই বর্তমানে বাংলার অন্যতম প্রতীক হয়ে উঠেছে দুর্গোৎসব। ২০০৬ সালে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের গ্রেট হল-এ ভয়েসেস অব বেঙ্গল সিজন নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনীর অঙ্গ হিসাবে বিরাট দুর্গোৎসবের আয়োজন করেন স্থানীয় বাঙালি অভিবাসীবৃন্দ ও জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।[১]
সাধারণত আশ্বিন শুক্লপক্ষের ষষ্ঠ দিন অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে দশম দিন অর্থাৎ দশমী অবধি পাঁচ দিন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই পাঁচটি দিন যথাক্রমে দুর্গাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী, মহানবমীবিজয়া দশমী নামে পরিচিত। আবার সমগ্র পক্ষটি দেবীপক্ষ নামে আখ্যাত হয়। দেবীপক্ষের সূচনা হয় পূর্ববর্তী অমাবস্যার দিন; এই দিনটি মহালয়া নামে পরিচিত। অন্যদিকে দেবীপক্ষের সমাপ্তি পঞ্চদশ দিন অর্থাৎ পূর্ণিমায়; এই দিনটি কোজাগরী পূর্ণিমা নামে পরিচিত ও বাৎসরিক লক্ষ্মীপূজার দিন হিসাবে গণ্য হয়। দুর্গাপূজা মূলত পাঁচদিনের অনুষ্ঠান হলেও মহালয়া থেকেই প্রকৃত উৎসবের সূচনা ও কোজাগরী লক্ষ্মীপূজায় তার সমাপ্তি। পশ্চিমবঙ্গের কোনও কোনও পরিবারে অবশ্য পনেরো দিনে দুর্গোৎসব পালনের প্রথা আছে। এক্ষেত্রে উৎসব মহালয়ার পূর্বপক্ষ অর্থাৎ পিতৃপক্ষের নবম দিন অর্থাৎ কৃষ্ণানবমীতে শুরু হয়ে থাকে। বিষ্ণুপুরের প্রাচীন রাজবাড়িতে আজও এই প্রথা বিদ্যমান। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় মহাসপ্তমী থেকে বিজয়া দশমী অবধি জাতীয় ছুটি ঘোষিত থাকে; এই ছুটি বাংলাদেশে কেবলমাত্র বিজয়া দশমীর দিনই পাওয়া যায়।
বর্তমানকালে দুর্গাপূজা দুইভাবে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে – ব্যক্তিগতভাবে পারিবারিক স্তরে ও সমষ্টিগতভাবে পাড়া স্তরে। ব্যক্তিগত পূজাগুলি নিয়মনিষ্ঠা ও শাস্ত্রীয় বিধান পালনে বেশি আগ্রহী হয়; এগুলির আয়োজন মূলত বিত্তশালী বাঙালি পরিবারগুলিতেই হয়ে থাকে। অন্যদিকে একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে যৌথ উদ্যোগেও দুর্গোৎসবের আয়োজন করেন। এগুলি বারোয়ারি বা সর্বজনীন পূজা নামে পরিচিত। সর্বজনীন পূজার উদ্ভবের ইতিহাসের সঙ্গে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনের ঐতিহ্য ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। আজকাল এই পূজাগুলিতে থিম পূজা অর্থাৎ, থিম ভিত্তিক মণ্ডপ ও প্রতিমা নির্মাণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

মনমোহনকে এক পাকিস্তানির খোলা চিঠি  (সংগৃহত)

ফাইজা মির্জা, পাকিস্তানের বিখ্যাত ইংরেজি পত্রিকা ‘দ্য ডন’-এর একজন সাংবাদিক। দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থায় বিব্রত ও বিরক্ত ফাইজা সম্প্রতি ডনের ব্লগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের উদ্দেশে একটা খোলা চিঠি লেখেন। ফাইজার এই খোলা চিঠিতে ফুটে উঠেছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সরকারগুলোর সীমাহীন ব্যর্থতার আখ্যান। প্রথম আলোর পাঠকদের ফাইজা মির্জার চিঠিটি হুবহু প্রকাশ করা হলো।

প্রিয় মনমোহন সিং,
আমি আমার জীবনে কোনো দিন আপনার মাপের কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলিনি। সুতরাং চিঠিতে আমার বক্তব্যের সহজ বিষয়টিকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন বলে আশা করি। প্রথমেই, পাকিস্তানের নয় শরও বেশি সংখ্যালঘু হিন্দুকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারটি বিবেচনা করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। এটা সত্যিই ওই হিন্দুদের জন্য আপনার চমত্কার এক বদান্যতা, যারা একসময় পাকিস্তানে বসবাস করত। কিন্তু আপনাকে বিবেচনায় রাখতে হবে যে পাকিস্তানে হিন্দু ছাড়াও খ্রিষ্টান এমনকি মুসলমানেরাও সত্যিকার অর্থে শান্তিতে জীবনযাপন করতে পারছে না।
আমি জানি, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আপনার সরকারের অগ্রাধিকার। কারণ, আপনার সরকারের অনেকেই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। আমি তার পরও আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই ওই হাজারাদের দিকে, যাদের প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশ্য দিবালোকে পাকিস্তানের রাজপথে কোনো না কোনো শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই ওই খ্রিষ্টানদের জন্য, যারা পাকিস্তানে নিদারুণ আতঙ্কের মধ্যে জীবনযাপন করছে; ব্লাসফেমি আইনে, যেকোনো সময়ই সেই খ্রিষ্টানদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে অথবা হত্যা করা হতে পারে। আমি আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের সাধারণ মানুষের প্রতি, যারা প্রায় প্রতিদিনই জঙ্গি অথবা মার্কিন ড্রোন হামলার শিকার হয়ে মারা যাচ্ছে। আমি হিন্দুদের পাশাপাশি এসব মানুষের সমস্যাগুলোর দিকেও আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যদিও আমি জানি না এদের নিয়ে আপনার বা আপনার সরকারের কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি না।
আপনার ও আপনার সরকারের মানুষজনের নিশ্চয়ই পাকিস্তানের আহমেদিয়াদের সম্পর্কে জানার সুযোগ হয়েছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, পাকিস্তানের আহমেদিয়ারা ধর্মীয় কারণে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কী ধরনের যন্ত্রণা ভোগ করছে! আমি আপনাকে অনুরোধ জানাব, পাকিস্তানের ওই মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে, যারা পাকিস্তানি সমাজে পরিবর্তন আনতে চায়। তাদের সঙ্গে কথা বললেই আপনি বুঝতে পারবেন, যারা পাকিস্তানের সমাজ-ব্যবস্থায় পরিবর্তন নিয়ে আসতে চায়, তারা কীভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কিন্তু কেন তারা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, কেন তাদের জীবন হুমকির মুখে পড়ছে, ব্যাপারগুলো ওইসব মানুষের কাছে একেবারেই দুর্বোধ্য।
আমি নিশ্চিত যে রাজনৈতিক আশ্রয়বিষয়ক সব ধরনের খুঁটিনাটিই আপনার নখদর্পণে। এটা সত্যি, সব শ্রেণীর পাকিস্তানিদের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়াতে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ভারত তাদের জন্য একমাত্র আশার আলো। পাকিস্তান থেকে আটারি সীমান্ত দিয়ে খুব অল্প খরচে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য শুধু ভারতে যাওয়া সম্ভব।
পাকিস্তানে অনেক মানুষের মধ্যে হতাশার মাত্রাটা এতটাই বেশি যে তারা যেকোনো মূল্যে আফগানিস্তানের মতো দেশে গিয়েও পালিয়ে বাঁচতে চায়। অথচ এই আফগানিস্তানের মানুষই একটা সময় পাকিস্তানে শরণার্থী হিসেবে আসতো।
আমরা সবাই আপনার সরকারের মানবিক নীতিগুলোর প্রশংসা করি। আমরা চাই পাকিস্তানের নির্যাতিত হিন্দু, যারা প্রাণের ভয়ে ভারতে চলে গেছে, আপনার সরকার তাদের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে। তবে এ ক্ষেত্রে আপনাকে জানানো জরুরি যে পাকিস্তানে ভিন্নধর্মাবলম্বীরা সবাই নানাভাবে নির্যাতনের শিকার এবং তাদের সবাইকে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া উচিত। এই সুযোগটি কেবল হিন্দুদের জন্য থাকবে, তা বোধ করি ঠিক নয়। যেখানে ভারত সরকার ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সীমান্তে পাকিস্তানে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা যেকোনো মানুষকেই খাদ্য সরবরাহের নীতিগত পরিকল্পনা নিয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের সুযোগটিও হিন্দুদের পাশাপাশি অন্যান্য সংখ্যালঘু ও নির্যাতিতদের জন্য অবারিত করে দেওয়া উচিত।
পাকিস্তান থেকে যেসব হিন্দু ভারতে চলে গেছে এবং সেখানে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের প্রত্যাশা করছে, তাদের ব্যাপারে ভারত সরকারের অনেকেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। এমনই একজন হলেন লক্ষ্মীকান্ত চাওলা। তিনি বলেছেন, ‘যেখানে পাকিস্তান সরকার সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে ভারত সরকারের উচিত এই নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের দেখভালের দায়িত্ব নেওয়া।’
এ ক্ষেত্রে আমি আশা করব, মি. চাওলার মন্তব্যের সূত্র ধরে আপনি পাকিস্তান সরকারের প্রতি রুষ্ট না হয়ে পুরো ব্যাপারটি একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখবেন। পাকিস্তান সরকার এই মুহূর্তে অনেক সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত। সর্বোচ্চ আদালতের সঙ্গে সরকারের এই মুহূর্তে ঠান্ডা লড়াই চলছে। যেখানে পাকিস্তান সরকার সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে, সেখানে তাদের সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখার সময় কোথায়? আপনাকে বুঝতে হবে, পাকিস্তান সরকার শুধু সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষা কিংবা তাদের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতেই ব্যর্থ হয়নি, তারা ব্যর্থ দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতেও।
অনেক পাকিস্তানিই হয়তো ব্যাপারটি সরাসরি স্বীকার করবে না, কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষিত ও প্রগতিশীল পাকিস্তানিই এই মুহূর্তে ভারতীয় নাগরিকত্বের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তাভাবনা করছে। এর নেপথ্য কারণ, ১৯৪৭ সালের পর দারিদ্র্য ও অন্যান্য সমস্যা সত্ত্বেও ভারত একটি জাতি, একটি অর্থনীতি, একটি রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। আমরা মনে করি, ভারতের রয়েছে একটি প্রগতিশীল সমাজব্যবস্থা। রাষ্ট্র হিসেবে ভারত শাসিত হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতিকদের দ্বারা। ভারতের সংসদ ও রাজনীতিতে ফ্যাসিস্ট রাজনীতির জায়গা খুব সীমিত। ভারতের জনগণের কাছেও ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারটি ভালো কিছু হিসেবেই পরিগণিত।
আপনারা একজন কাসাবকে আটকে রেখেছেন। কিন্তু আপনারা কী জানেন, এই পাকিস্তানে আরও কত হাজার হাজার কাসাব ঘুরে বেড়াচ্ছে, যারা প্রতিনিয়ত পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে ‘নাস্তিক’, ‘ইসলামবিরোধী’, ‘ভারতের দালাল’, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল’, ‘কমিউনিস্ট’ ইত্যাদি অভিধায় অভিহিত করছে!
আমরা যারা সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি, তারা রীতিমতো অসহায় বোধ করি, যখন দেখি এই দেশে (পাকিস্তান) কট্টরপন্থীরা নির্ভয়ে ও দম্ভ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। আমাদের সান্ত্বনার জায়গাটা কোথায়?
গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমি পাকিস্তানে বাস করছি ঠিকই, কিন্তু সব সময় খুঁজে বেড়াচ্ছি বসবাসের উপযোগী একটি নিরাপদ দেশ। আমি সেই দেশে বাস করতে চাই, যে দেশে আমি নিজেকে প্রকাশ করতে পারব দ্বিধা ও ভয়হীন চিত্তে।
কিছুদিন আগে করাচির রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একটি পোস্টারে আমার চোখ আটকে যায়। সেই পোস্টারে ছিল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর ছবি, আর নিচে লেখা ছিল, ‘পাকিস্তান তোমায় চায়’।
পোস্টারটি দেখার পর আমার মনে এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়। প্রথমবারের মতো আমি অনুভব করি, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ আমাদের যে পাকিস্তান দিতে চেয়েছিলেন, সেটা বিনির্মাণে আমরা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছি।
আমার আগের ও পরের অনেকের মতোই আমি এই মুহূর্তে একটি নিরাপদ মাটির সন্ধানে রয়েছি, যেখানে আমার জীবনের মূল্য থাকবে, থাকবে নিরাপত্তা। আমি সেই নিরাপদ মাটির সন্ধানেই দেশের মানুষদের ছেড়ে চলে যেতে চাই। লড়াই চালাতে চাই ওই সব ক্ষতিকর বিষয়ের বিরুদ্ধে যা এই মুহূর্তে আমার মাতৃভূমি পাকিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করছে।
আমি জানি না আমাকে ভারতে চলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কি না। এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে তখনই, যখন দেখব ভারত সরকার রাজনৈতিক আশ্রয়ের প্রশ্নে হিন্দুদের সঙ্গে আমাকেও একই পাল্লায় বিচার করছে।
ইতি,
আপনার অনুগত
প্রগতিশীল পরিবর্তনের জন্য সচেষ্ট পাকিস্তানিদের একজন

শনিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১২

পূজা স্মরণিকা


সনাতন বিদ্যার্থী সংসদ, এম এম কলেজ শাখা বের করতে যাচ্ছে দুর্গা পূজা উপলক্ষে পূজা স্মরণিকা।
গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, বা আলোচিত যে কোন বিষয়ের উপর লেখা পাঠাতে পারেন।
আপনাদের কাছ থেকে লেখা কামনা করি।

যোগাযোগ লেখা পাঠানোর ঠিকানা  
svs.mmc@gmail.com
০১৯৬৫৫৬৪০৫৬