শনিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০১২

কক্সেস বাজারে আদিনাথ কে দর্শন

কক্সেস বাজারে আদিনাথ কে দর্শন করতে গিয়ে সনাতন এর জন্যে আমি অনেক কিছুই নিয়ে এসেছি এবং পোষ্ট এর মাধ্যমে তা জানিয়েছি ও সবাই কে। কিন্তু আদিনাথ মন্দিরের কিছু বিষয় যা আমাকে যথেষ্ট হতাশ করেছে।

যে বিষয়ে আমি হতাশ হলাম সেটি হলো, আদিনাথ মন্দিরে

একটি পারিজাত বৃক্ষ রয়েছে। যা মাথা উচু করে দারিয়ে নিজের অস্তিত্ত প্রমান দিচ্ছে। স্বর্গের ফুল পারিজাত স্বর্গের বৃক্ষ পারিজাত। কিন্তু ছেলে মেয়েরা ঐ গাছের ডালে ডালে পলিথিন দিয়ে গিঁট মেরে যাচ্ছে। গাছের নিচের দিকের যে অংশটুকু হাত দিয়ে ধরা যায় সেই অংশ টুকুতে ডালের বা পাতার কোন অস্তিত্ত নেয় শুধু পলিথিন এর গিঁট আর গিঁট।

গাছ টি মরে যাবে এই অবস্থা চলতে থাকলে। এক জন গিঁট মারছে আমি তাঁকে ডেকে জিগ্যেস করলাম কেন গিঁট মারছেন এই ভাবে? তিনি উত্তর দিলেন আমার ছেলে হচ্ছে না তায় আমি আদিনাথের কাছে মানস করেছি যে আমার ছেলে হলে আমি এই গিঁট খুলে দিব!!! আমি তাঁকে আবার জিগ্যেস করলাম আপনি অন্য মন্দিরে ও কি গিঁট মেরেছেন? তিনি বললেন হ্যাঁ যে মন্দিরে যায় সেখানেই আমি গিঁট দি (তাঁর মানে উনার হাত থেকে কোন মন্দিরের গাছের মুক্তি নেয়্)

আমি গিঁট যিনি মারছেন তাঁকে জিগ্যেস করলাম আপনি কি জেনে গিঁট মারছেন এখানে? এখানে গিঁট মারলে কি আপনার ইচ্ছা পূর্ণ হবে? তিনি বললেন কাকে জিগ্যেস করব আমি? উত্তরে আমি বললাম মন্দিরের পূরিত কে জিগ্যেস করুন না কেন?

নিজে উদ্যোগী হয়ে আমি পূরিত কে ডেকে আনলাম। তাঁকে জিগ্যেস করলাম এতে কি উপকার হয় (পূরিত আমাদের সনাতন সংগঠনের এক জন সন্মানিত সদস্য) ? তিনি বললেন দাদা আমরা অনেক নিষেধ করি কিন্তু শুনে না কেও। প্রতি ৩ মাস অন্তর আমরা গাছের নিচের ডাল গুলি কে কেটে ফেলি কিন্তু ময় নিয়ে এসে বাঁধে ওরা গিঁট। এমন ও নাকি আছে প্রেমিক প্রেমে সফলতা পেতে প্রমিকার ছবি ও ১০০ টাকা সহ গাছের ডালে গিঁট মেরে যায় !!!!!!!

পুরহিতএর এই কথা শুনে না হেঁসে পারলাম না। আমি পূরিত ও এডভোকেট মৃণাল চক্রবত্তি এক সাতে হাসলাম এবং বুঝিয়ে বললাম এভাবে ঈশ্বরের কৃপা পাওয়া যায় না। ঈশ্বরের কৃপা পেতে হলে ভক্তি ভরে নিজের কাজ টা ঠিক ভাবে করতে হয়।

প্রকৃতিই ঈশ্বর তায় প্রকৃতির সৃষ্টি কে এই ভাবে গিঁট দিয়ে মেরে ফেলা উচিৎ নয়। আপনার যেখানেই দেখবেন সেখানেই এই কু-সংস্কার এর প্রতিবাদ করবেন। একটা অমূল্য গাছ ও যেন নষ্ট না হয় এই গিঁট শিল্পী দের হাত থেকে।

ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন।

লিঙ্কন চক্রবরর্ত্তী

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন