শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

বাংলাদেশেও হিন্দু নির্যাতনের জন্য ইস্যু হিসেবে দেখানো হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মানুভূতিতে আঘাতের মিথ্যে গুজব ।

বাংলাদেশেও হিন্দু নির্যাতনের জন্য ইস্যু হিসেবে দেখানো হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মানুভূতিতে আঘাতের মিথ্যে গুজব  
*সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের হাইস্কুল মাঠে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে 

মঞ্চস্থ করা হয়েছিল হুজুরে কেবলা নাটক যা মূলত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অংশ বিশেষ যেখানে অভিনেতা ,স্ক্রিপ্ট রচয়িতা প্রায় সকলকেই ছিল মুসলিম শুধুমাত্র যে শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে হয়েছিল তিনি ছিলেন হিন্দু ,তাই নাটক মঞ্চস্থ করার দু দিন পর মহানবীকে কটাক্ষ করার গুজব রটিয়ে শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করে উল্টো তাঁর বিরুদ্ধে করা হল মামলা,শুধু কি তাই মসজিদে লিফলেট বিতরণ করে দুই গ্রামের হিন্দুদের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হল, ট্রলি করে লুট করে নিয়ে যাওয়া হল হিন্দুদের সব মালপত্র 
*চট্রগ্রামের হাটহাজারীতে লোকনাথ বাবার অনুষ্ঠানের র্যালি তে পাথর নিক্ষেপ করে উল্টো মসজিদে হামলার কথা বলে হিন্দুদের শারীরিক নির্যাতন করা হল এরপর দুই দিন ব্যাপী পুলিশের সামনে চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়ক অবরোধ করে হাটহাজারীর সব মন্দির ধ্বংস করে মন্দিরের দান বাক্স ও মূল্যবান মালপত্র করা হল লুট করল আর উল্টো মুফতি আমিনীদের পক্ষ থেকে করা হল নিরীহ হিন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা

*দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দুই হিন্দু অধ্যুষিত গ্রামে কিছুদিন আগেও হয়ে গিয়েছিল নামযজ্ঞ অনুষ্ঠান এলাকার এক প্রভাবশালী হিন্দুর সুনামে ও সম্মানজনক পজিশনে ঈর্ষান্বিত অধ্যাপিকা হামিদা বানু দুই গ্রামের মধ্যবর্তী স্থানে বলাইবাজারে জায়গা ক্রয় করে মার্কেট দেন এবং তিনি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন কিন্তু স্থানীয় হিন্দু গ্রামবাসী মুসলিম শুণ্য সরকারি রাস্তার জমিতে মসজিদে নির্মাণে আপত্তি জানাইলে হামিদা বানু হিন্দুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এবং তারপর পুলিশ মোতায়ণ করা হয় এবং 144জারি করা হয় ,কিন্তু পরদিন 144 থাকা সত্ত্বেও যখন সাধারণ Hinduরা যখন মাঠে কাজ করছিল তখন অতর্কিত সশস্ত্র হামলা চালানো যায় জালিয়ে দেওয়া ঘরবাড়ি আর এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছিল বহিরাগত এলাকার টেরোরিস্টদের ,এ বছর নিরাপত্তার অভাবে গোটা উপজেলার দূর্গা পুজো না করার সিদ্ধান্ত রয়েছে

*সিলেটে একই সঙ্গে পুজো ও ঈদের শুভেচ্ছাস্বরুপ এক পাশে দুর্গার ত্রিনেত্র ও অপরপাশে মক্কার ছবি দেওয়া হলে ইউপি মেম্বার কে আটক করা হয়


সাম্প্রতিককালে পাকিস্তানে ধর্ম অবমাননার(ব্লাসফেমি)অভিযোগে আটক খ্রিষ্টান কিশোরী রিমশাকে কিছুদিন পূর্বে আটক করা হয়েছিল রিমশা কোরান পুড়িয়েছেন বলে অভিযোগ আনেন স্থানীয় এক মসজিদের ইমাম হাজী মোহাম্মদ খালিদ চিশতিতিনি দাবি করেন , রিমশার ব্যাগে কোরান শরীফের পোড়া অংশ রয়েছে এবং তল্লাশি করে তা পাওয়াও যায় ,তাই গত ১৬আগস্ট তাকে গ্রেফতার ও করা হয় কিন্তু পরে জানা যায় যে খালিদ ইচ্ছাকৃতভাবে মেয়েটিকে ফাঁসানোর জন্য ব্যাগে কাগজপত্র সরিয়ে কোরাণের ছেঁড়া অংশ প্রবেশ করে দেয় কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে অবশেষে গত শুক্রবার পাঁচ লাখ রুপির বিনিময়ে তাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালতউল্লেখ্য রিমশাই প্রথম ব্লাসফেমির মামলায় দেশটিতে জামিন পেলেন খবর-বিবিসি,রয়টার্স
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন