হিন্দু
পারিবারিক আইন পরিবর্তনের সুপারিশে আইন কমিশন ও এনজিওগুলো ভারতের হিন্দু
আইন সংস্কারের দৃষ্টান্ত দিয়েছে। একথা ভুললে চলবে না যে ভারতে হিন্দুরা
সংখ্যাগুরু, এদেশে সংখ্যালঘু।
ভারতই যদি তাদের কাছে মডেল হয়ে থাকে
তাহলে ভারতে Ministry of Minority Affairs রয়েছে বাংলাদেশে আগে তা হোক। এই
মন্ত্রণালয়ের অধীনে ভারতে National Minorities Development and Finance
Corporation (NMDFC) নামে সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বাংলাদেশে তা আগে করা
হোক। ভারতে রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, সংসদের স্পিকার, কেন্দ্রীয় ও রাজ্য
সরকারে প্রচুর সখ্যক সংখ্যালঘু পূর্ণ মন্ত্রী রয়েছে। বাংলাদেশে কখনো কি তা
আমরা আশা করতে পারি? নিজ যোগ্যতা বলে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি হওয়ার কথা
ছিল ফণীভূষণ চৌধুরী মহোদয়ের। তাকে সরানোর জন্য রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা করে
তাকে সরিয়ে দেয়া হলো। এটাই বাংলাদেশ। ভারতে সংখ্যালঘুদের জন্য হাজারো
প্রকল্প ও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় যার তুলনায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা
বৈষম্য-নির্যাতন ছাড়া আর কিছু পায় না।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হিন্দুদের বহুদিনের দাবি, বিভিন্ন
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সচিব বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে আশ্বস্তও করেছেন। কিন্তু বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগই দেখা যাচ্ছে না।
আগে সংখ্যালঘু হিন্দুদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সভ্য নাগরিক হিসেবে
সর্বক্ষেত্রে সমান অধিকার সুনিশ্চিত করা হোক। তাদের উন্নয়নে উপরোক্ত
পদক্ষেপ নেয়া হোক। পারিবারিক আইন সংস্কার আমাদের দাবি নয়। এই মুহূর্তে
হিন্দু আইন সংস্কার সচেতন হিন্দু সমাজ মেনে নেবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন